বগুড়ায় ভোটে অনিয়মের অভিযোগে গাবতলী উপজেলার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র দুই ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

কুসুমকলি কেন্দ্র থেকে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ দুজন আটক হয়েছেন। সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয়ে অব্যাহতি পাওয়া দুইজন হলেন সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান ও তারিকুল ইসলাম। সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এটিএম আমিনুল ইসলাম এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

একই উপজেলায় ভোট কারচুপির জন্য ব্যালট পেপার কেন্দ্রের বাইরে পাঠানোর অভিযোগে প্রিজাইডিং অফিসার শাজাহান আলম ও এক প্রার্থীর এজেন্ট সাবেক ইউপি সদস্য এরশাদ আলী আটক হন।

স্থানীয়রা জানান, বেলা ১১ টার দিক বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আনারস মার্কার প্রার্থী রফি নেওয়াজ খান রবিনের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক উপজেলার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এসে দ্বিতীয় তলার দুইটি ৪ ও ৫ নাম্বার বুথে পোলিং এজেন্টের কাছ থেকে ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে সিল মারেন।

এ সময় এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার রুমে দরজা বাহির থেকে লাগিয়ে দোতলার পুরুষ দুই ভোট কক্ষে জাল ভোট দেওয়া হচ্ছিল। বিষয়টি জানার পর প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে জানালে তিনি বলেন, হয়তো ভুল বশত বাহিরে থেকে কেউ দরজা লাগিয়ে দিয়েছে। আর জাল ভোটের বিষয়টি তিনি জানেন না।

বার্তা বাজার/এইচএসএস