” বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক নির্বাচনের ব্যবস্থা না করে একদিকে তিনি দায়িত্বে অবহেলা করছেন অন্যদিকে তিনি সহকর্মীদের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। ” – জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ( জাবি) উপাচার্যের বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি পন্থী শিক্ষকদের রাজনৈতিক সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।

আজ মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেছেন তারা।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেট, শিক্ষা-পর্ষদ, ডীন ইত্যাদি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক পর্ষদ প্রায় পাঁচ (৫) বছর পূর্বেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। এমনকি বর্তমান উপাচার্য যেই সিনেটে গত ১২ আগস্ট ২০২২ ইং তারিখে নির্বাচিত হয়েছেন তার প্রায় সকল সদস্য বহু আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। ১৫ মে ১৯৯০ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় প্রস্তাবিত ও ২৩ জুন ১৯৯০ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত সিনেট কর্তৃক অনুমোদিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সংবিধিবলী (নির্বাচন সংক্রান্ত বিধিসমূহ) অনুযায়ী সকল বিধিবদ্ধ পর্ষদ নির্বাচনের দায়বদ্ধতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের থাকলেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি।

মেয়াদোত্তীর্ণ গণতান্ত্রিক পর্ষদ সমূহের নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত রাখতে নির্বাচনের বিষয়ে উপাচার্যের কাছে কয়েক দফায় দাবি জানালেও তিনি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক নির্বাচনের ব্যবস্থা না করে একদিকে তিনি দায়িতে অবহেলা করছেন অন্যদিকে কাল ক্ষেপণের মাধ্যমে তিনি সহকর্মীগণের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন।

তারা আরও বলেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুসংহত না করে বিভিন্ন বিভাগ, অফিস ও আবাসিক হলে শিক্ষক/ কর্মকর্তা/ কর্মচারী নিয়োগ দেয়ায় ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশ মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এছাড়াও  ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একমাত্র জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েই দীর্ঘদিন গণতন্ত্রহীনতা বিরাজ করছে।  বিরাজমান গণতন্ত্রহীনতায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে  তারা নির্বাচনের সুস্পষ্ট রূপরেখা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশকে সমুন্নত রাখার পাশাপাশি সহকর্মীগণের দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা পূরণের দাবি জানিয়েছেন।

বার্তা বাজার/জে আই