কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক নুরুল আমিন এর উপর হাইব্রীড আওয়ামী লীগ নেতা জাফর আহমদ কর্তৃক হামলার ঘটনায় উদাসীন উপজেলা যুবলীগ। এই ঘটনায় অসন্তোষ বিরাজ করছে যুবলীগের তৃনমূল নেতা কর্মীদের মাঝে।

সোমবার (২৪ জুলাই) রাত ৮টার দিকে পৌর শহরের আলী উল্লাহ শপিং কম্পেক্সের সামনে এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনাই নুরুল আমিন বাদী হয়ে টেকনাফ পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফর আহমদ মেম্বার, নুর মোহাম্মদ, বশির আহমদ উরফে প্যান্ট বশির ও মোহাম্মদ আলমকে আসামী করে টেকনাফ থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুবাইয়ের হোসেন।

হামলার শিকার নূরুল আমিন জানান, সোমবার রাতে পৌর শহরের আলী উল্লাহ শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে নুর মোহাম্মদ, বশির আহমদ উরফে প্যান্ট বশির ও মোহাম্মদ আলম নুরুল আমিনকে অস্ত্রের মুখে জাফর আহমদ মেম্বারের কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। সে সময় জাফর প্রধান সড়কের উপর গাড়িতে বসাছিলো। গাড়ির সামনে যাওয়ার পর জাফরের নির্দেশে তাকে গাড়িতে তুলে অপহরণের চেষ্টা করে। এসময় নুরুল আমিন বাঁধা দিলে তাকে ব্যাপক মারধরে করে। পরে চিৎকার শুনে পথাচারীরা তাকে উদ্ধার করতে এলে জাফর সন্ত্রাসীদের নিয়ে গাড়িতে করে পালিয়ে যায়।

এর আগেও এক সমাবেশে দলে অনুপ্রবেশকারী হাইব্রীডদের নিয়ে বক্তব্য দেয়ায় জাফর তাকে ডেকে মৃত্যুর হুমকি দিয়ে ছিলেন বলে জানান হামলার শিকার এই যুবলীগ নেতা।

এদিকে, হামলার ২০ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও উপজেলা যুবলীগের উল্লেখ যোগ্য কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। এমনকি অফিসিয়াল প্যাডে একটি বিবৃতিও দেয়নি।

এই ঘটনায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুবলীগের বেশ কিছু সিনিয়র নেতা কর্মীরা উপজেলা যুবলীগের নিরবতাকে কোন ভাবেই ইতিবাচক ভাবে দেখছেন না। তারা বলেন, হামলার হোতা টেকনাফ পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফর জোট সরকারের আমলে মামলা হামলা করে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের ঘরে ঘুমাতে দেয়নি। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশ করে একের পর এক তিনি বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে চলছেন। উপজেলা যুবলীগের দায়িত্বশীলদের নিরবতার সুযোগে এখনো তার হাতে যুবলীগের নেতা কর্মীরা হামলার শিকার হচ্ছেন। এটা কোন ভাবে গ্রহন যোগ্য না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি উপজেলা যুবলীগ কোন ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে তৃনমুল নেতা কর্মীরা এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল কবির বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে জাফরের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিরোধ করতে দলীয় কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনের সন্নিকটে এসে হাইব্রিডদের হাতে দলীয় নেতা কর্মীরা হামলার শিকার হওয়ার ঘটনায় দলীয় ভাবে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দলীয় নেতা কর্মীরা।

বার্তা বাজার/জে আই