পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে গভীর রাতে করাতকল মিস্ত্রীর স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করে জনতার ধাওয়ায় দৌড়ে পালাল ইউপি সদস্য মোঃ জহিরউল ইসলাম। করাতকল মিস্ত্রীর আপন ছোট ভাই মোঃ আব্দুল্লাহ এবং তাদের মাতা লুৎফুন্নেছা বেগম হাতে নাতে মেম্বর জহিরকে ধরে ফেলেন। এসময় লুৎফুন্নেছার ছোট ছেলে মোঃ সজীব হোসেন ইউপি সদস্য জহিরউলকে ঝাপটে ধরে ডাক চিৎকার দেওয়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে মেম্বর জহিরুল ইসলাম সজীবকে সজোড়ে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে শেষ রক্ষা পায়নি।

স্থানীয় একটি সিসিফুটেজ ক্যামেরায় দেখা যায় মেম্বর জহিরুল ইসলাম ধাওয়া খেয়ে পায়ের জুতা খুলে দৌড়ে পালাচ্ছেন। ওই স্ত্রীর স্বামী ঢাকায় থেকে একটি করাতকলে কাজ করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ওই ঘন্ডমন্ড শুনে আমি দৌড়ে গিয়ে অচেনা পরপুরুষটিকে ধরার জন্য হাতে জুতা নিয়ে দৌড়াচ্ছিলাম।

করাতকল মিস্ত্রীর আপন ভাই মোঃ আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, আমার মেজ ভাই সজীবের স্ত্রীর সাথে ইউপি সদস্য জহিরের সাথে অনেক দিন থেকে প্রেমের সম্পর্ক। জহিরের বিরুদ্ধে আমার মেজ ভাইয়ের বউয়ের করা একটি নারী শিশু নির্যাতন মামলা চলমান। তারপরও ভাবির সাথে জহির মেম্বরের অনৈতিক সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। বিষয়টি আমি এলাকার গণ্যমান্য লোকদের জানালে তারা বলেন তাদের হাতেনাতে ধরতে হবে। তাই তাদের কথামত গত শুক্রবার গভীর রাতে ভাবির ঘরে জহিরের কন্ঠসর শুনতে পাই। এসময় মাকে নিয়ে তাদের আটকালে জহির মেম্বর রান্না ঘরের বেড়া ভেঙ্গে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় আমি তাকে ঝাপটে ধরে ডাকচিৎকার দেই। তখন সে আমাকে সজোড়ে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালায়।

আব্দুল্লাহ’র মাতা লুৎফুন্নেছা অভিযোগ করেন, তার মেঝ ছেলে ঢাকায় সমিলে কাজ করে। আর পুত্রবধূ বাসায় একা থাকে। ঘরের সাথে আমার ঘর। ঘটনার দিন পুত্রবধূর বাসায় জহির মেম্বরের কন্ঠস্বর সহ শব্দ শুনতে পাই। তখন আমার ছেলে আর আমি বের হয়ে জহিরকে আটকালে দৌড়ে পালিয়ে যায়। যাহার প্রমাণ বাড়ির সামনে মাদ্রাসার সিসি ক্যামেরায় পাওয়া গেছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য জহির বলেন, বাদশা মিয়ার দুই ছেলে মাদক ব্যবসা করে। আমি তার প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করছে। এর পূর্বেও তারা করাতকল মিস্ত্রীর স্ত্রী দিয়ে আমার বিরুদ্ধে থানায় একটি নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দিয়েছিল।

ওই স্ত্রীর স্বামী মোঃ সজীব বলেন, আমি কিছু বলতে চাইনা। আমার বিয়ে করা স্ত্রী। সংসারে ছোট দুইটা বাচ্চা আছে। এসব মিথ্যা নাটক। আমার ভাই ও ভাইয়ের বউ সব মিথ্যা বলছে।

বার্তাবাজার/এম আই