লালমনিরহাট সদর উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠে রিফাত নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমদ্বয়কে আদিতমারী ও সদর থানায় দীর্ঘ সময় আটক থাকার পরেও কোন অভিযোগ না হওয়ায় একটি সাধারন ডায়েরী করে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

সোমবার (১০ জুলাই) সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় পূর্ব পরিকল্পনার অনুযায়ী নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে কৌশলে রিক্সাযোগে নিয়ে যাওয়ার সময় শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে রিফাত নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। রিফাত সদর উপজেলার হারাটী ইউনিয়নের আমবাড়ী গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র। আর স্কুল ছাত্রী কাশিপুর গ্রামের মোঃ মোস্তাকের মেয়ে। ওই ঘটনা রিফাত ও স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে প্রথমে আদিতমারী থানা পরে সদর থানায় দীর্ঘ সময় আটক থাকার পর অদৃশ্য কারণে ছেড়ে দেয়ায় সাধারণত মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

ঘটনাসূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট সদর উপজেলার বুড়ির হাট উচ্চ বিদ্যালয় পড়ুয়া নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ঘুড়তে যাওয়ায় কথা বলে রিফাত আদিতমারী উপজেলার সরল খা এলাকায় দিয়ে রিক্সা যোগে যাচ্ছিলো। সে সময় মেয়েটির সাথে জোর পুর্বক ধস্তাধস্তি করে এবং স্পাশকাতর ঝায়গা হাতদিয়ে শ্লীলতাহানি ঘটায়। তখন স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্যের চোখে পড়ায় তাদের দুজনকে একটি বাড়িতে বসিয়ে রেখে পরিবার ও পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তাদের আদিতমারী থানায় নিয়ে যায়, সেখানে দীর্ঘ রাত জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত তিনটার দিকে সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে আদিতমারী থানার ওসি মোজাম্মেল হক। সদর থানা হেফাজতে থাকার পর আজ মঙ্গলবার বিকেলে একটি সাধারণ জিডি করে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে সদর থানার তদন্ত কর্মকতা স্বপন কুমার রায় জানান, উক্ত ঘটনায় উভয় পক্ষের কোন ধরনের অভিযোগ না থাকায় একটি সাধারণ জিডি করে তাদের পরিবারের লোকজনের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

সদর থানার ওসি উমর ফারুক জানান, আমি থানার বাহিরে থাকায় ঘটনাটি ফোনের জেনেছি, যেহুতু কোন পক্ষ অভিযোগ করেনি তাই তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

বার্তাবাজার/এম আই