বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে উত্যাক্তের শিকার হয়েছে ৭ ছাত্রী। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর বাজারের পাশে ওই উত্যাক্তের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় উত্যাক্তকারী ৫ বখাটেকে পুলিশে দিয়েছেন শিক্ষকেরা। উত্যাক্তের শিকার ৭ ছাত্রীর মধ্যে ৩ জন সপ্তম শ্রেণির, ২ জন অষ্টম ও ২ জন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তারা গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর ইউনিয়নের খুবজিপুর বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। উত্যাক্তকারী বখাটেরা পার্শ্ববর্তী সিংড়া উপজেলার বিলদহর গ্রামের বাসিন্দা।

বিদ্যালয় সূত্র ও উত্যাক্তের শিকার ছাত্রীরা জানায়, বিদ্যালয় ছুটির পর দুপুরে ওই ছাত্রীরা খুবজিপুর-বিলশা সড়ক হয়ে বাড়ি ফিরছিল। পথে খুবজিপুর বাজার সংলগ্ন ব্রীজের পাশে পেছন থেকে ছাত্রীদের শরীর স্পর্শ করে বখাটেরা।

এসময় স্থানীয়রা ৫ বখাটেকে আটক করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন। স্থানীয়রা জানান, ওই ৫ বখাটেকে বিদ্যালয় মাঠের মধ্যে পিচমোড়া করে বেঁধে রাখা হয়। এসময় তাদের কিল-ঘুষিও দেন অনেকে। পরে বিকেল তিনটার দিকে পুলিশ গিয়ে ওই ৫ বখাটেকে হেফাজতে নেয়।

এসময় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে ঘন্টাখানেক আপোষ রফার চেষ্টা করেন বখাটেদের স্বজনেরা। কিন্তু বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উত্যাক্তকারী ৫ বখাটেকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, উত্যাক্তের অভিযোগ পেয়ে খুবজিপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৫ বখাটেকে আটক করে থানায় আনা হয়। আটকৃতরা হলেন, সিংড়া উপজেলার বিলদহর গ্রামের নিখিল চন্দ্র কর্মকারের ছেলে শ্রী অন্তর কর্মকার (১৮), একই গ্রামের মাহবুব আলমের ছেলে আজিজুল হাকিম সাজু (১৭), মো. বকুল হোসেনের ছেলে আমিনুর ইসলাম (১৫), মো. রঞ্জু মন্ডলের ছেলে মেহেদী ইসলাম রাকিবুল (১৬) ও মো. রজব আলী মন্ডলের ছেলে মো. রাকিব হোসেন (২০)। এদের মধ্যে রাকিব হোসেন ভ্যানচালক। বখাটেরা রাকিব হোসেনের ভ্যানযোগে গুরুদাসপুরের বিলশায় বেড়াতে এসেছিলেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) সেলিম আজাদ জানান, তার বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্যাক্ত করার কারণে স্থানীয়রা বখাটেদের আটক করে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসেন। বখাটেদের বিদ্যালয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। তবে তাদের বেঁধে রাখা হয়নি। পরে ৫ বখাটেকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহা. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, উত্যাক্তের শিকার ছাত্রীদের মধ্যে এক ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।

বার্তাবাজার/রাহা