ঝিনাইদহে প্রতিপক্ষের হামলায় পৌর কাউন্সিলরসহ এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেসময় দুটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। শনিবার রাত ১১টার দিকে সুরাট গ্রামের জলিল শেখের ছেলে উজ্জ্বল শেখের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে যেতে পারে তারা।

জানা গেছে, জেলা পরিষদের সদস্য (সদর উপজেলা) মোরাদিম মুস্তাকিম মনিরের উপরে সুরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সমর্থক মোশারেফ লস্কারের নেতৃত্বে হামলার চেষ্টা করা হয় এবং কিছু লোক উজ্জ্বল শেখের বাড়ির চারপাশ ঘিরে রাখে। অবস্থা বুঝতে পেরে মনির সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানাকে ও তার ভাই ঝিনাইদহ পৌরসভার কাউন্সিলর আরেফিন কাইসারকে মোবাইলে বিষয়টি অবগত করেন। ওই সময় ওসি নিকটবর্তী নারিকেল বাড়ীয়া ক্যাম্পের পুলিশ পাঠান। পুলিশ মনিরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ শহরের বাসায় পৌছিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে সুরাট বাজারের তিন রাস্তার মোড়ে পৌছালে এনামুলের নেতৃত্বে মিথুন, রানা ও আনোয়ার হামলা চালায়। হামলায় পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল মান্নান ও আরেফিন কাইসার আহত হন। এসময় তাদের দুটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান,এই ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সে বর্তমানে সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এখনও অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সুরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন বলেন, আমি শুনেছি মনির নিজেই লোকজন সাথে নিয়ে দাওয়াত খেতে গিয়েছিল।

সেখানে দু’গ্রুপের সাথে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পুলিশ আহত হওয়ার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি সেখানে ছিলাম না। পুলিশ আহত হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই।

বার্তা বাজার/জে আই