রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের শালমারা নদীর নব্য খননকৃত অংশের পাঁড় কেটে মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে একটি অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে।

গতকাল (৬ জুলাই) শালমারা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ের প্রাচীর সংলগ্ন শালমারা খালের উচু পাড় কেটে অবাধে বিক্রি করছে মাটি। মাটি বিক্রির ইজারা নেয়া মমিনুল ইসলাম জানান, এই মাটি ৩৩,০০০ টাকায় ক্রয় করেছি স্কুল কমিটির কাছে থেকে। এ বিষয়ে আমাদের সরকারি অনুমতি আছে। বালু মাটির ছবি তুলতে গেলে বাধা দেন স্কুল কমিটির সদস্য পরিচয় দেয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি। তিনি জানান,আমরা স্কুলের উন্নয়নে এসব ব্যয় করতেছি।শালমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন স্কুল কমিটি হওয়ার পর থেকেই আমরা ব্যক্তিগত টাকা খরছ করে উন্নয়ন করতেছি। আপনারা পুরো স্কুলের উন্নয়নের ভিডিও নিয়ে যান।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, বন্যার হাত থেকে রক্ষার জন্য বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ নদী পুনঃখনন করে দুই পাড় উঁচু করেছে মাটি দিয়ে। কিন্তু স্কুলের ভবন মাটির নিচে তলিয়ে যাওয়ার অজুহাতে এই পাঁড় কেটে লক্ষ লক্ষ টাকার মাটি বিক্রি করতেছে একটি চক্র। এভাবে চলতে থাকলে সামান্য বন্যায় আবারো প্লাবিত হবে শালমারার কৃষি জমি,রাস্তাঘাট,বাড়িঘর। এ বিষয়ে অজ্ঞাত কারণে নীরব রয়েছে নদী রক্ষা কমিটি ও প্রশাসন।

মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রংপুর সার্কেল এর প্রকল্প পরিচালক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) হাবিবুর রহমান খান জানান, শালমারা স্কুল সংলগ্ন আমরা কোন মাটি বিক্রির অনুমতি দেয়নি। আমরা কোন মাটি বিক্রির ব্যবসা করি না। এবিষয়ে এখনি লোক পাঠিয়ে তদন্ত পূর্বক আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

বার্তাবাজার/রাহা