একের পর এক বিতর্কিত কর্মকান্ড এবং দলীয় সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে সেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের অভিযোগ আনা হচ্ছে বিএনপির সিনিয়র নেতা আব্দুল আওয়াল মিন্টুর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বিএনপির উদ্ধতন মহল থেকে দুটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলকে বর্জনের ঘোষনা দেয়ার পর, বিএনপি বর্জিত একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার প্রদান করে পুনরায় আলোচনায় এসেছেন বিএনপির এর জ্যেষ্ঠ নেতা।

সম্প্রতি বিএনপির মহাসমাবেশ এবং অবস্থান কর্মসূচীতে দলের পক্ষ থেকে দেয়া দ্বায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন না করা নিয়ে ক্ষোভ চলমান থাকা অবস্থায়, সরাসরি দলের পক্ষ থেকে গৃহীত একটি নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত, প্রকাশ্যে উপেক্ষা করার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেখা গিয়েছে বিএনপির তৃণমুল থেকে হাইকমান্ডের একাধিক প্রভাবশালী নেতাকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র নেতা তাকে দলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা শত্রু বলেও অবহিত করেছেন। তিনি আরো বলেন, বিগত ২৯শে জুলাইয়ের অবস্থান কর্মসূচীতে ঢাকা প্রবেশমুখ গাবতলী অঞ্চলে তাকে এবং উত্তরার বিএনএস সেন্টারের অঞ্চলগুলোতে তার ছেলে তাবিথ আউয়ালকে সাংগঠনিক ভাবে বিএনপির পক্ষ থেকে শক্তিশালী অবস্থান নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হলেও তা উপেক্ষা করে, যথাযথ দ্বায়িত্ব পালন না করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা ছাড়াও ক্ষমতাসীনের সঙ্গে আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও তার পরিবারের গোপন আতাতের অভিযোগ আনেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

এছাড়াও বিএনপির বিরুদ্ধে মিডিয়া প্রপাগোনিষ্ট একাধিক গণমাধ্যমকর্মীকে নিয়মিত আর্থিক সুযোগ ও সুবিধা প্রদান করা সহ দলের ভেতর ও বাহিরের গুরুত্বপূর্ন গোপন তথ্য পাচার করে দলের আভ্যন্তরের গোপনীয়তা ক্ষুন্ন করার অভিযোগ আনেন একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ।

রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্কিত এবং রহস্যময় বয়োজ্যেষ্ঠ এই রাজনীতিবিদের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক অতীত নির্ভেজাল শান শৈ সহ চলাফেরা ইতিপূর্বে একাধিক বিতর্কের জন্ম দিলেও তা ঢাকা পড়ে যায় অজানা কারনে।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন যে আবদুল আউয়াল মিন্টু বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজেকে এখন এতই বিতর্কিত করেছেন যে দলের ভিতরেও তার ব্যাপারে নেতৃবৃন্দদের আস্থা নেই। আর আস্থাহীনতা কাটাতে এবং লাইম লাইটে আসার জন্যই হয়তো মিন্টু নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করে আলোচনায় আসতে চাইছেন।

 

ই.এক্স/ও.আর/বার্তা বাজার