বিএনপি গণতন্ত্রের পিঠে ছুরিঘাত করে ক্ষমতা আসতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা উত্তরার আমিন কমপ্লেক্সের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ১৪ দল আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, বিএনপি আজকে নির্বাচনকে ভয় পায়, গণতন্ত্রকে ভয় পায়, ষড়যন্ত্র মাধ্যমে ক্ষমতা আসতে চেষ্টা করছে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এ দেশের রাজনীতিতে হত্যা, ক্যু ষড়যন্ত্রের সূচনা করেছে। তারা (বিএনপি) গণতন্ত্রের পেছনে ছুরিঘাত করে ক্ষমতা আসতে চায়। আজকের নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়৷’

আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা বলেন, কারো দয়ায় শেখ হাসিনা ক্ষমতা আসে নাই। এ দেশে মানুষের ভোটের বারবার ক্ষমতা এসেছে। জনগণের ভোটটা বারবার নির্বাচিত হয়ে তিনি সরকার গঠন করেছেন।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ২০১৩-১৪ সালে তারা আন্দোলন শুরু করেছিল। প্রতিদিন নিরীহ মানুষ মারা যেত। ১৪ সালের নির্বাচনে মানুষ যখন তোমাদের প্রত্যাখ্যান করল, তোমরা অগ্নি-সন্ত্রাসের আশ্রয় নিলে। তোমরা রাতের অন্ধকারে আতঙ্কিতভাবে মানুষ হত্যা শুরু করলে, বোমা মেরে অগ্নিসন্ত্রাস করে শত শত মানুষকে আহত করলে, হত্যা করলে, তোমরা হাজার হাজার গাছ কেটে মানুষের পথ চলার পথ বন্ধ করার চেষ্টা করলে, ব্যর্থ হয়েছ, পারো নাই। আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার গঠন হয়েছে। আগামী তো এদেশে গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে।

আমির হোসেন আমু বলেন, শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারদের বিচার করেছে, করছে, জাতীয় চার মূলনীতি আবার সংসদের সংবিধানে পুনঃনির্বাস করেছে। আজকে অসম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছে। আজকে এগুলো তারা (বিএনপি) সহ্য করতে পারে না। এখানেই তাদের আতে ঘা লেগেছে।’

১৪ দলের প্রধান সমন্বয়ক ও মুখপাত্র বলেন, শেখ হাসিনা যখন পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে সমস্ত সূচকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আজকে সারা বিশ্ব যখন বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বলে, তখন তাদের গাত্রদাহ হয়। পাকিস্তানের প্রেতাত্মাদের গাত্রদাহ হয়। সেই গাত্রদায়ের জ্বালার কারণে শেখ হাসিনাকে আঘাত করতে চায়। শেখ হাসিনাকে তাদের সহ্য হয় না।

সমাবেশে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননসহ ১৪ দলের নেতারা বক্তব্য দেন।

বার্তা বাজার/জে আই