আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ১১ ঘণ্টার সফরে ঢাকা ঘুরে গেছেন। তার সংক্ষিপ্ত সফরে ফুটবল সংশ্লিষ্ট কারও সঙ্গে দেখা হয়নি। এরমধ্যে বিকালের ফ্লাইটে মার্টিনেজ কলকাতায় উড়ে গেছেন দুই দিনের সফরে। যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া চেয়েছিলেন ‘বাজ পাখি’র সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু খুব কাছে থেকেও বিফল হয়েছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ হচ্ছে নানান আলোচনা-সমালোচনা।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে বাংলাদেশ দল ছিল ভারতের বেঙ্গালুরুতে। সোমবার (৩ জুলাই) দুপুরে দেশে ফিরেছে। বাংলাদেশ অধিনায়ক বিমানবন্দরে মার্টিনেজের সঙ্গে দেখা করার সুযোগটা নিতে গিয়েও ব্যর্থ মনোরথে বাসায় ফিরেছেন। জামালের হয়ে জাতীয় দলের টিম অ্যাটেন্ডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন তাৎক্ষণিক আয়োজকদের অনুরোধ করেও সফল হতে পারেননি।

দেশের অধিনায়কের সঙ্গে এমন আচরণ দেখে জাতীয় দলের স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবন ফেসবুকে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, ‘জামাল ভূঁইয়া দেশের ফুটবলের একমাত্র পোস্টার বয়। দেশের টানে উড়ে আসছেন সুদূর ডেনমার্ক থেকে। এসব গল্প দেশের প্রতিটি ফুটবলপ্রেমী মানুষের জানা। শুধু জানলো না প্রোটোকলে থাকা ব্যক্তিরা। শুধু চিনলো না নিরাপত্তার দোহাইতে নিজ দেশের ক্যাপ্টেনকে অবমাননা করা মানুষগুলো।’

এরপরই আবাহনীর অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকার লিখেছেন, ‘আপনার এমি মার্টিনেজকে চিনে স্বার্থকতা কী, যেখানে নিজ দেশের ক্যাপ্টেনকেই সম্মান জানাতে পারলেন না!’

জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকার তকলিস আহমেদের ক্ষোভও কম নয়। তার কথায়, ‘নিজের দেশের ফুটবল অধিনায়ককে সম্মান দিতে পারেন না! আসুন আগে নিজের দেশের ক্যাপ্টেনকে সম্মান করি।’

অধিনায়কের সঙ্গে নাবীব নেওয়াজ জীবনজাতীয় দলের গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেলও ক্ষুদ্ধ। তিনি বললেন সেই প্রচলিত কথা, ‘যেই দেশে গুণীজনদের সম্মান করা হয় না, সেই দেশে গুণীজন জন্মায় না!’।

জাতীয় দলের আর্চার অসিম কুমার যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে লিখেছেন, ‘জামাল ভূঁইয়াকে দেখে খুব কষ্ট লাগছে, সে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে কথা বলতে পারেনি।’

জামালের সঙ্গে দেখা না করার বিষয়টি সমর্থকরাও ভালোভাবে নেননি। বেসরকারি ব্যাংকে চাকরিরত বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার সমর্থক নাদিম হাসান রোহানও বলেছেন, ‘বাংলাদেশ অধিনায়কের সঙ্গে মার্টিনেজের দেখা করতে না দেওয়াটা মেনে নেওয়া কঠিন। যেখানে জামাল নিজেই বিমানবন্দরে ছিলেন। অন্তত কিছু সময়ের জন্য হলেও আয়োজকদের দেখা করে দেওয়াটা উচিত ছিল। এতে দেশের ফুটবলের সম্মান বাড়তো।’

যদিও জামাল এর আগেই বলেছেন, ‘আসলে এয়ারপোর্টে অনেক লোক ছিল। হয়তো এ কারণে তার সঙ্গে দেখা হলো না। যদি আগে থেকে বলা থাকতো তাহলে হয়তো সম্ভব ছিল। দুর্ভাগ্য যে দেখা হলো না।’