স্বাধীন বাংলার স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিনি স্বাধীনতার পর উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন, যে পাকিস্তানিরা আমাদের ন্যায্য অধিকার আমাদেরকে দেবে না। তাদের শোষণ নীতির প্রতিবাদে তিনি দলকে গড়ে তুলেছিলেন।
তিনি তখন উপলব্ধি করেছিলেন, যে ছাত্রদেরকে সচেতন করতে হবে এবং সে কারণে তিনি একাত্তরে আওয়ামী লীগ গঠনের তিন বছর পর ছাত্রলীগকে গঠন করেন। যুব সমাজকে শক্তিশালী করার জন্য যুবলীগ গঠন করেন। খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন হওয়ার জন্য গঠন করেছিলেন কৃষকলীক। কুমিল্লার মুরাদনগরে তৃণমূল পর্যায়ের ছাত্রলীগের কার্যক্রম আরো গতিশীল করার লক্ষে কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এফসিএ এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জাতি গঠনে পড়ালেখার কোন বিকল্প নেই। ছাত্রলীগের ইতিহাস একটি মহিমান্বিত ইতিহাস। ছাত্রলীগ বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক মহেন্দ্রক্ষণে তাদের নেতৃত্বে ভূমিকা রেখেছে। তাদের এই ইতিহাস গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস। চিরকাল অম্লান হিসেবে তাদের এই ইতিহাস আমাদের মাঝে থাকবে।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ মাঠে মুরাদনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সফিকুল ইসলাম তুহিন এর সভাপতিত্বে কর্মী সমাবেশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ মহিউদ্দীন।
মুরাদনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাফিজ খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হানিফ সরকার, কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রুবেল, মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল খায়ের, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মোঃ ইসমাইল, মুরাদনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শরিফ খাঁন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা কৃষকলীগের আহবায়ক বাবু পার্থ সারথী দত্ত, মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারওয়ার হাসান চিনু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম সরকার ও আরিফুল ইসলাম সাহেদ, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আফজালুন্নেসা বাসিত জেলা পরিষদের সদস্য মনিরুল আলম দিপু, মহিলা সদস্য মমতাজ বেগম, ইউপি চেয়ারম্যান ভিপি জাকির হোসেন, কাজী তুফরীজ এটন, কামাল উদ্দিন খন্দকার, যুব মহিলা লীগের সভাপতি মমতাজ খন্দকার, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন, পলাশ চন্দ্র দেবনাথ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর মোহাম্মদ হোসাইনসহ ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বার্তাবাজার/এম আই
