নৌকা প্রার্থীকে হারাতে বিএনপির নেতাকর্মী সাথে আতাত

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার গুয়ারেখা ইউপি উপ-নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ফারজানা আক্তারসহ তার পরিবারকে থামাতে বিএনপি জামাতের সাথে আতাত করে দলের গুটি কয়েক ইউনিয়ন নেতারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যেকোন মূল্যে তারা নৌকার প্রার্থীকে হারাতে ইতোমধ্যে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা মহলে ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছে। একইসাথে নৌকা মার্কার কর্মীদের বিএনপি জামাতের ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকদলের নেতারা রাস্তা ঘাটে ধরে হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। আর এর প্রত্যক্ষ পরোক্ষ মদোদ দিয়ে যাচ্ছে নৌকার ছায়াতলে থেকে বিগতদিনে সুবিধা নেয়া গুটিকয়েক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা। তবে এর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে আছে উপজেলা আওয়ামীলীগ। তারা বলছেন, যদি ওই ইউপি নির্বাচনে নৌকা হারাতে উপজেলার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কোন নেতার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় তবে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানাগেছে, গত ৩১ মে নেছারাবাদ উপজেলার গুয়ারেখা ইউপি উপ-নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা হয়। সে নির্বাচনে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ থেকে একাধিক প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন। ওই মনোনয়ন প্রত্যাশিদের কিছু কিছু লোক এলাকার বিএনপি জামাতের সাথে আতাত সম্পর্ক ছিল বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। মনোনয়ন প্রত্যাশিদের অনেককে পিছনে ফেলে নৌকার মনোনয়ন পান অত্র ইউনিয়নের প্রয়াত চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব সিকদারের জেষ্ঠ্য পুত্রবধূ ফারজানা আক্তার। ফারজানা আক্তার উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এবং ইঞ্জিনিয়ার পলাশ সিকদারের স্ত্রী। পলাশ সিকদার ছাত্রলীগের রাজপথের একজন সৈনিক। ইঞ্জিনিয়ার পলাশ সিকদার আওয়ামী পরিবারের সন্তান এবং তার স্ত্রী আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে ওঠে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত কিছু লোক। পলাশ সিকদারের পরিবারকে ধমাতে যেকোন মূল্যে নৌকা হারাতে মরিয়া হয়ে কাজ করছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দু’চারজন নেতা। তারা তৎকালিন বিএনপির সংসদ সদস্য শহিদুল হক জামালের এপিএস ফকির নাসির উদ্দীনের সাথে একাত্মতা হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ নানা মহলে ছড়াচ্ছেন ভিত্তিহীন অভিযোগ। তারা ধারাবাহিক অভিযোগ ছড়িয়ে প্রার্থী ফারজানা আক্তারের স্বামী পলাশ সিকদারকে হয়রানির চেষ্টা চালাচ্ছেন।

নাম না প্রকাশ শর্তে অত্র ইউনিয়নের পাটিকেলবাড়ী গ্রামের কয়েকজন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতার অভিযোগ ইঞ্জিনিয়ার পলাশ সিকদার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং আওয়ামী পরিবারের সন্তান। উপ-নির্বাচনে তার স্ত্রী ফারজানা আক্তার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছে। দলের মনোনয়ন বঞ্চিত কিছু লোক ঈর্ষান্নিত হয়ে বিএনপি মনোভাবপন্ন প্রার্থী গাজী মিজানুর রহমানের সাথে সখ্যতা গড়ে নৌকা ফুটো করার চিন্তায় ভিবোর আছেন। এজন্য তারা পলাশ সিকদারের পরিবারের ইমেজ ক্ষুন্ন করতে নানা মহলে তার এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন কিছু অভিযোগ ছড়িয়ে ইঞ্জিনিয়ার পলাশকে হয়রানির চেষ্টা চালাচ্ছে।

পাটিকেলবাড়ী ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মিন্টু ফকির অভিযোগ করেন, ইউনিয়নের বিএনপি নেতা জনৈক কুদ্দুস সিকদারের ছেলে সাকিল সিকদার, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের নেতা। শাকিল স্থানীয়ভাবে বিএনপি চাঙ্গা করতে স্কুল কলেজ পড়ুয়া দরিদ্র ঘরের ছেলেদের নিয়ে দল পাকিয়ে বেড়ায়। ইউপি উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির পায়তারা চালাচ্ছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শাকিল সিকদার। তিনি বলেন, আমি বিএনপি একথা ঠিক। তবে কারো সাথে অসদ আচারন করিনা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একদল লোক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন।

বার্তাবাজার/রাহা