আগামীকাল (২১ জুন) বুধবার অনুষ্ঠিত হবে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।

ভোটের আগের দিন অর্থাৎ আজ সকাল থেকে সিলেট জেলা নির্বাচন অফিস থেকে পুলিশ, আনসার বাহিনীসহ অন্যান্য শান্তি শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনী কড়া নিরাপত্তায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ব্যালট বাক্স নিয়ে যাচ্ছেন।

এবার সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৬জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে ক্ষমতাধর রাজনৈতিক সংগঠন বিএনপি বর্জন করেছে নির্বাচন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী হিসেবে সিলেটে লড়ছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী,তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে আলোচনা সমালোচনায় রয়েছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল।

চরমোনাই পীরের দল ইসলামি আন্দোলন থেকে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন মাও-মাহমুদুল হাসান। তবে বরিশাল সিটি’র ঘটনার প্রতিবাদে সিলেট সিটিতে তিনি তার প্রার্থীতা বর্জন করেছেন। রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকে আবদুল হানিফ কুটু,হরিণ প্রতীকে আব্দুর রউফ মোস্তফা ও বাস গাড়ী প্রতীকে শাহজাহান মিয়া।

নগর ঘুরে ঘুরে জনগণের কাছে সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী’র শূন্যতা আলোচনায় শুনা গেছে। সবকিছু ছাপিয়ে এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী’র মাঠ ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে লোকমুখে শুনা যাচ্ছে। অনেকে আবার কৌতূহল বশত: লাঙ্গলের প্রার্থী বাবুলকে মনে কেরছেন তার সাথে হয়তো ভোট হবে । কাল সিলেট নগরবাসীর জন্য সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের নেতা নির্বাচন করবেন নগরবাসী। প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এবং সিলেট নগরী জুড়ে নির্বাচনের পালে হাওয়া বইছে।

এবার সিসিক নির্বাচনে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটলেও আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে প্রার্থীতা হারিয়েছেন ৭নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আফতাব হোসেন খান। ৩৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সিলেটের সিনিয়র সাংবাদিক বদরুর রহমান বাবরকে দেয়া হত্যার হুমকি ছাড়া তেমন কিছু ঘটনি। তবে একাধিক ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিতে রয়েছে মনে করে অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী শঙ্কা প্রকাশ করছেন।

বার্তাবাজার/রাহা