জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) রাতে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ী ফেরার সময় পাটহাটি মোড়ে ওঁৎ পেতে থাকা ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের ওপর হামলা করে। হামলায় সাংবাদিক গোমাল রব্বানী নাদিম গুরুতর আহত হয়।

পরে স্থানীয় সাংবাদিক এবং পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখান থেকে রাতেই তাকে ২৫০ শয্যার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

নিহত গোলাম রব্বানির স্ত্রী মনিরা বেগম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম তার (গোলাম রব্বানি) ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। আগেও তিনি নানাভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করেছেন। ওই ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজনই হামলা করে তাকে হত্যা করেছেন। তিনি এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

আটকে বিষয়ে বকশিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সোহেল রানা বলেন, সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যায় সিটি টিভির ফুটেজ দেখে চার জনকে আটক করা হয়েছে তদন্ত স্বার্থে নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। বাকিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।

মাহমুদুল আলম বাবু বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ ঘটনার পর থেকেই চেয়ারম্যান বাবু পলাতক রয়েছেন। তাকে বার বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বার্তাবাজার/এম আই