বিদ্যালয়ের বেতন দিতে না পারায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা এই শিরোনামে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন নিুজ পোর্টালে সংবাদ প্রচার হয়েছে। যা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে৷ উক্ত সংবাদটি সঠিক না। সংবাদটি মিথ্যা, গুজব ও ভিত্তিহীন।

প্রতিবাদে জানা যায়, গত ০৫/০৬/২০২৩ইং তারিখ, রুদ্র বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী লাবনী আক্তার রোল-৬৮, শাখা- মেঘনা, গ্রাম- তারাকান্দি। সে আত্মহত্যা করে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং মর্মান্তিক। তার জন্য রুদ্র বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারি ও পরিচালনা পর্ষদ গভীর ভাবে শোকাহত। বিদ্যালয়ের পক্ষ হতে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিলে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিদ্যালয় মাঠে দোয়া করা হয় এবং তার জানাজায় শরিক হন।

কিন্তু অতি দুঃখের সাথে বলতে হয় সমাজের একটি কুচক্রী ও স্বার্থান্বেষী মহল বিদ্যালয় ও আমাদের সুনাম নষ্ট করার জন্য ঘটনার সত্যতা সঠিক ভাবে যাচাই না করে সাংবাদিক ভাইদের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে একটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করেছে। সংবাদ মাধ্যম গুলেতে লেখা হয় ২ হাজার ২০০ (দুই হাজার দুইশত) টাকার জন্য অভিবাবককে চাপ দেওয়া হয় যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারন উক্ত শিক্ষার্থীর নিকট বিদ্যালয়ের প্রকৃত সর্বমোট পাওনা ৯০০ (নয়শত) টাকা। যাহা বিদ্যালয়ের রেকর্ড বইয়ে লিপিবদ্ধ আছে।

আরও অপপ্রচার করছে যে, বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী উর্মি আক্তারের অভিভাবক জনাব উজ্জল মিয়ার বক্তব্য দিয়েছে যাতে লেখা হয়েছে বেতন দিতে দেরি করায় তার মেয়ে উর্মিকে রোদের মধ্যে দাড় করিয়ে রাখা হয়েছিল যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। প্রকৃত পক্ষে উজ্জল মিয়ার সাথে কোন সাংবাদিকের এই বিষয়ে কথাই হয়নি। যদি কেউ ইচ্ছা করেন উজ্জল মিয়ার সাথে স্বাক্ষাৎ করে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে নিতে পারেন। সত্যতা যাচাই না করেই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গুজবটিকে শেয়ার ও কমেন্ড করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হল।

প্রকৃতপক্ষে রুদ্র বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মানিত ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ, অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী ও সচেতন অভিভাবকগণের অক্লান্ত পরিশ্রমে বিদ্যালয়ের লেখাপড়া ও সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম সহ সকল দিক থেকে উত্তরোত্তর যে সাফল্য অর্জন করে চলছে, যা দেখে একটি কুচক্রীমহল ঈর্ষান্বিত হয়ে এসব গুজব রটাচ্ছে। তাই সকলের নিকট বিশেষ অনুরোধ সঠিক তথ্য না জেনে অহেতুক গুজবে কান দিবেন না।

বার্তা বাজার/রাআ