প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সরকারি কার্যালয়ে গেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এসময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সরকারি অফিসে তার সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত। এ বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ছাড়াও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদেরও কিছু বক্তব্য ছিল। সে সব বিষয় নিয়েই রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, এই আলোচনা অব্যাহত থাকবে।

এর পরে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্যান্য সময় বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির কয়েকজন নেতা থাকলেও আজকের বৈঠকে মির্জা ফখরুল একাই উপস্থিত হন।

মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে মার্কিন দূতাবাসে প্রবেশ করেন বিএনপি মহাসচিব। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর দুপুর আড়াইটায় দূতাবাস থেকে বের হন ফখরুল।

এর আগে গত রোববার পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক বৈঠকগুলোর দিকে দৃষ্টি রাখছে সচেতন মহল।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি ঘোষণার পরদিন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে একসঙ্গে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতারা।

২৫ মে বৈঠকটি হয় রাজধানীর গুলশানে মার্কিন দূতের বাসভবনে।

বৈঠক শেষে বেরিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন সরকার বাংলাদেশের জন্য যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে চেয়েছে। প্রতিটি দলই তাদের মতামত দিয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ ও সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. এ আরাফাত, বিএনপির পক্ষে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং জাতীয় পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল।

বার্তা বাজার/জে আই