পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে ঘরমুখী যাত্রীদের চাপ ক্রমেই বাড়ছে। শুরু হয়েছে ভাড়ার নৈরাজ্য। এতে প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের মানুষজন বাস ভাড়ায় দর দামের দুর্ভোগে পড়ছে। যাত্রীদের অভিযোগ অধিকাংশ পরিবহনে ভাড়া চাওয়া হচ্ছে দ্বিগুণ। দর দাম করে ভাড়া মেটালেও মিলছে না আসন। তাই বাধ্য হয়ে অনেকেই কম ভাড়ায় ট্রাক, পিকআপে করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছুটছেন।

শনিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন রুট বাসের ভাড়া নিয়ে এই ধরনের নৈরাজ্যের চিত্র চোখে পড়েছে।

যাত্রাবাড়ী থেকে শরীয়তপুরের নড়িয়ার দূরত্ব ৭৮ কিলোমিটার। এ রুটে বাসের ভাড়া ২৫০ টাকা। কিন্তু ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ায় যাত্রীরা বিপাকে পড়ছেন। কিন্তু উপায় না থাকায় বাধ্য হয়ে যাত্রীদের বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে।

একইচিত্র রাজধানীর মহাখালী, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী ও ফুলবাড়িয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া দেশের প্রতিটি গন্তব্যের যাত্রীদের কাছ থেকে বাসগুলো বেশি ভাড়া আদায় করছে।

ঢাকা থেকে শরীয়তপুর-নড়িয়া যাচ্ছেন, মেহেদী হাসান বার্তা বাজারকে বলেন, ‘নড়িয়া সব সময় ২০০ / ২৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে যাই। কিন্তু আজকে ৫০০ টাকা দিয়ে যেতে হচ্ছে।

আরেক যাত্রী শফিকুল ইসলাম বার্তা বাজারকে বলেন, বাসের ভাড়া প্রতি ঈদেই তো দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ হয়ে যায়। আজ আমার কাছ থেকে শরীয়তপুরের নড়িয়ার ভাড়া নিয়েছে ৫০০ টাকা। সঠিক তদারকি থাকলে আমাদের বাড়তি টাকা গুণতে হতো না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

পরিবহন মালিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণ সময়ে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম ভাড়া রাখা হয়। এখন সঠিক ভাড়া রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন গন্তব্য থেকে বাস ফেরার সময় বেশির ভাগ সিটই খালি থাকছে। পাশাপাশি বিভিন্ন পয়েন্টে যানজটের কারণে ট্রিপ সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। ফলে এ ছাড়া বিকল্প নেই।