ময়মনসিংহ সদর আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মোহিত উর রহমান শান্ত সহযোগিতা চেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের চিঠি দিয়েছেন। সে নিজের ফেসবুক পেইজ থেকে সেই চিঠি রোববার বিকেল চারটার দিকে প্রকাশ করেন।

আমার এই লেখা হয়তো ফেসবুকে দেওয়া উচিত না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অসহযোগিতার দরুন বাধ্য হলাম। অন্তত আমাদের দলের নেতাকর্মীবৃন্দ , সদরের ভোটারবৃন্দ জানুক আমি চেষ্টা করেছি।

অবর্ণনীয় পরিশ্রম এবং ভালোবাসায় আমি আজকে ময়মনসিংহ সদর আসনের সাংসদ। আপনাদের প্রিয় নেতা আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এর সন্তান হিসেবে মানুষের প্রতি আমার দ্বায়বদ্ধতা আছে । ময়মনসিংহ সদরে সর্বাত্মক উন্নয়ন সাধন করার চেষ্টারত আছি , তাই আপনাদের সহযোগীতা আমার একান্ত প্রয়োজন।

আমার সরকার প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার জনবান্ধব সরকার। তাই আমাদের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এবং অবকাঠামো উন্নয়নে প্রতিনিয়তই সরকার বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ রইল আপনাদের ইউনিয়নের যে সকল রাস্তা নতুন করে নির্মাণ-মেরামত প্রয়োজন, যে সকল ব্রীজ- কালভার্ট নির্মান, মসজিদ-মাদ্রাসা, কবরস্থান সহ, অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সামাজিক সাংস্কৃতিক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী যে কোন সংগঠন সমূহে সাহায্য প্রদান প্রয়োজন , এর একটি পূণার্ঙ্গ তালিকা আমাকে প্রেরণ করবেন। যাতে করে সরকারী সহযোগীতা আসা মাত্রই আমি এই তালিকা থেকে আপনাদের সেবক হিসেবে , সরকারের একজন প্রতিনিধি হয়ে আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারি।

এই বিশাল কর্মযজ্ঞ পরিচালনার জন্য আপনাদের ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর অন্যান্য সকল সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সংগঠন এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান (আওয়ামী লীগ) কে অন্তর্ভূক্ত করে একটি কমিটি গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমার নিকট প্রেরনের জন্য মিনতি করছি। এই কমিটি পরবর্তী সময় উক্ত ইউনিয়নের সকল বরাদ্দ প্রান্তিক পর্যায়ে বিতরণ করবে। যেন আমার সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মসূচির অংশীদার কিংবা সুবিধা ভোগী প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষও হতে পারে।

আপনারা যদি সম্মিলিতভাবে এই কাজগুলি না করেন তাহলে ব্যক্তিগত পর্যায়ে থেকে যারা আসেন তারা আমার প্রতি বিরূপ হন অপ্রাপ্তিতে ।

এ প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, কিছু কিছু জায়গা থেকে সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছিলো না। তাই চিঠি প্রকাশ করা হয়, যেন মানুষ আমার প্রচেষ্টা জানতে পারেন। সব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছেই চিঠি পৌঁছানো হচ্ছে।