গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় বন্ধু সেরাজুল ইসলামের গোপন অঙ্গ কেটে ফেলার পর নিজের গোপন অঙ্গ কেটে অবশেষে মারা গেলেন বন্ধু বেলাল হোসেন।

ঈদের দাওয়াত দিয়ে সেরাজুলকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে তার গোপন অঙ্গ কেটে দেয় বেলাল হোসেন। এরপর বেলাল হোসেন নিজেই ধারালো ছুরি দিয়ে তার গলা, পেট ও গোপন অঙ্গ কেটে গুরুত্বর আহত হন।

আজ বুধবার (১৯ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তবে অপর আহত বন্ধু সেরাজুল ইসলাম বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিহত বেলাল হোসেন (২১) হলেন,উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়নের সুজালপুর গ্রামের মফিজুল হকের ছেলে ও সেরাজুল ইসলাম (১৯) পশ্চিম পবনতাইড় গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।

আরো জানা যায়, মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে সাঘাটার উপজেলার সুজালপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে ব্লেড দিয়ে বন্ধু সেরাজুল ইসলামের গোপন অঙ্গ কেটে দেন বেলাল হোসেন। এই ঘটনার পরপরেই বেলাল হোসেন বাড়ির অদূরে মাটেলের বিল নামক স্থানে গিয় ধারালো ছুরি দিয়ে নিজেই তার গলা, পেট ও গোপন অঙ্গ কেটে গুরুত্বর আহত হন।

নিহত বেলাল ও আহত সেরাজুল ইসলামের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, বেলালের সঙ্গে সেরাজুলের দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুত্ব সম্পর্ক ছিলো। তারা দুজনে একই মেয়েকে ভালোবাসতো। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। এই জেরে বেলাল ক্ষিপ্ত হয়ে সেরাজুলকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে তার গোপন অঙ্গ কেটে দেয়। এসময় তার ডান হাতের একাধিক জায়গা কেটে জখম হয়। এই ঘটনার পর বেলাল নিজেই ধারালো ছুরি দিয়ে তার পেট, গলা গোপন অঙ্গ কেটে ফেলেন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বার্তা বাজারকে বলেন, নিহত বেলালের মরহেদ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এই ঘটনায় আহত সেরাজুলের বাবা তোতা মিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, প্রেম ঘটিত ঘটনার কারণে বেলাল ও সেরাজুল এমন ঘটনা ঘটায়। তবে অনাকাঙ্খিত এই ঘটনাটি পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে।