শরীয়তপুরের জাজিরায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ২৫ টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে কমপক্ষে ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের মাঝিরঘাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়, প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ারসার্ভিস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে মাঝিরঘাট বাজারের মুদি দোকানী ইউনূস খাঁনের দোকানের বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে প্রথম আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহুর্তেই সেই আগুন পুরো বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে জাজিরা উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এর আগেই ইউনুস খান, হাসান মাদবর, তাজেল মাদবর, রাসেল মিয়া, মঙ্গল খাঁন, ছালাম মাদবরের মুদি দোকান, রাসেল মাদবরের মোবাইল রিচার্জের দোকান, স্বপন ফকিরের খাবারের হোটেলসহ অন্তত ২৫ টি দোকান পুড়ে যায়।

ভুক্তভোগী ইউনূস খাঁন বলেন, ঈদের বেচাবিক্রির জন্য দোকানে অনেক টাকার মাল উঠাইছিলাম। আগুনে আমার সব শ্যাষ হইয়া গেলো। আমি পথের ফকির হইয়া গেলাম।

আরেক দোকানী ছালাম মাদবর বলেন, ঈদের নামাজ পড়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। হঠাৎ শুনি বাজারে আগুন লাগছে। দৌঁড়ে এসে দেখি আমার পুরো দোকান আগুনে পুড়ে যাচ্ছে। কিছুই বের করতে পারি নাই। এখন সরকার থেকে যদি সাহায্য দেয় তাহলে আবার নতুন করে দোকান চালু করতে পারবো।

শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসের সেকেন্ড অফিসার ও জাজিরা উপজেলা ফায়ার ইন্সপেক্টর শংকর বিশ্বাস বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। দুটি টিম আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ছিলো। দীর্ঘ ২ ঘণ্টা প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। মূলত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হবে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা আবেদন করলে সরকারিভাবে যতোটুকু সম্ভব উপজেলা প্রশাসন তাদের পাশে দাঁড়াবে।