শরীয়তপুরের ৩০ টি গ্রামে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগেুলোর সঙ্গে মিল রেখে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা প্রায় ১০০ বছর ধরে রোজা রেখে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করে আসছেন। এবছরও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের একদিন আগেই পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করা হবে বলে জানিয়েছে সুরেশ্বর দরবার শরীফ কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দরবার শরীফের গদীনশীন পীর শাহ মুজাদ্দেদী সৈয়দ তৌহিদুল হোসাইন শাহিন নূরী বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, জান শরীফ শাহ সুরেশ্বরী নামে এক সুফি সাধকের প্রতিষ্ঠিত সুরেশ্বর পাক দরবার শরীফের কয়েক লাখ ভক্ত ও অনুরাগী রয়েছেন সারাদেশে। সুরেশ্বর দরবার শরীফের এসব ভক্ত ও অনুরাগীরা ১৯২৮ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের একদিন আগেই রোজা ও ঈদ পালন করেন। এর মধ্যে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর, কেদারপুর, চাকধ্, চন্ডিপুর ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ দারাগড়সহ ৩০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে আগামীকাল বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করবেন। প্রতিবছরের মতো এবছরও সুরেশ^র দরবার শরীফে একই সময়ে পৃথক মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজের দুইটি জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টায় অনুষ্ঠিতব্য ঈদুল ফিতরের নামাজের ইমামতি করবেন শাহ সুফি সৈয়দ বেলাল নূরী আল সুরেশ্বর ও মাওলানা মো. জুলহাস উদ্দিন।

সুরেশ্বর দরবার শরীফের ভক্ত আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আমার বাবাও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করতেন। আমরা বংশ পরম্পরায় এভাবেই ধর্ম পালন করে আসছি। ইনশাআল্লাহ, আগামিকাল পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবো।

সুরেশ্বর দরবার শরীফের গদীনশীন পীর শাহ মুজাদ্দেদী সৈয়দ তৌহিদুল হোসাইন শাহিন নূরী বলেন, বুধবার সুরেশ্বর দরবার শরীফে ঈদুল ফিতরের দুইটি জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। পৃথিবীতে চাঁদ একটাই। সুতরাং পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলেই আমরা তারাবি, রোজা ও ঈদ পালন করি। এ বছরও সুরেশ^র দরবার শরীফের পৃথক স্থানে একই সময়ে ঈদুল ফিতরের দুইটি জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। সুরেশ্বরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় ৩০টি গ্রামের ২০ হাজার মুসল্লি আগামীকাল পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন। সবাইকে সুরেশ^র দরবার শরীফের পক্ষ থেকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।