ফতুল্লার মাসদাইরে ফিল্মি স্টাইলে জায়েদ আহাম্মদ নামের এক ব্যবসায়ীকে পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেধে মারধর করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেছে দেনাদার জাহাঙ্গীর বাহিনী। রবিবার দুপুরে ফতুল্লার মাসদাইর তালা ফ্যাক্টরীর মোড় এলাকার রেজাউল করিম ওরফে জাহাঙ্গীর বাহিনীর অফিস থেকে ব্যবসায়ী জায়েদ আহাম্মদকে হাত-পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।

এতে জাহাঙ্গীর বাহিনীর এক সদস্য রুবেলকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জাহেদ আলী নামের ওই ব্যবসায়ীর বাবা মুন্সী ইলিয়াস আহম্মেদ বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লার তল্লা আজমিরীবাগ এলাকার মুন্সী ইলিয়াস আহম্মেদের ছেলে জায়েদ আহাম্মদ। সে দীর্ঘদিন ধরে শহরে সুতার ব্যবসা করে আসছে। তার কাছ থেকে ব্যবসায়ী রেজাউল করিম ওরফে জাহাঙ্গীর সুতা ক্রয় করে ব্যবসা করে আসছে। কেনা-বেচার মাঝে তাদের দুইজনের মধ্যে ভাল সম্পর্ক হয়। একসময় জাহাঙ্গীর জায়েদ আহাম্মদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকার বাকীতে মালামাল নেয়। অনেক টাকা বাকী হলে জাহেদ জাহাঙ্গীরের কাছে পাওনা টাকা চাইলে দেই দিচ্ছি বলে কালক্ষেপন করে আসছে। গত ২৩ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় জাহাঙ্গীর আমার ছেলে জায়েদকে পাওনা টাকা ফেরৎ দেয়ার কথা বলে বাসা থেকে ফোন করে ডেকে আনে মাসদাইর তালা ফ্যাক্টরীর মোড়ে। এরপর জায়েদ সরল বিশ্বাসে জাহাঙ্গীর ও তার ছেলের কথায় মাসদাইর পাওনা টাকা নিতে আসে। জাহেদ আলী আসার পরেই তাকে কৌশলে হাত-পা ও চোখ কাপড় দিয়ে বেধে বেধড়ক মারপিট করে জাহাঙ্গীর ও রুবেল ও তার বাহিনীর সদস্যরা। জায়েদ আহাম্মদের পরিবার তাকে খুঁজে না পেয়ে জায়েদের বাবা পুলিশের সহায়তা নিয়ে জায়েদকে মাসদাইর এলাকা থেকে হাত-পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করেন। এসময় রুবেলকে পুলিশ ঘটনাস্থল হতে গ্রেপ্তার করেন।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আযম মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ১ ঘন্টার মধ্যে ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।