কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) চলমান পরিস্থিতি নিরসনে ছয়টি পদক্ষেপ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার (২০ মার্চ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

ছয়টি পদক্ষেপ হলো, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উপাচার্য দপ্তরে ‘অনভিপ্রেত’ ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) একজন প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইউজিসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মনোনীত প্রতিনিধির নাম পাওয়া সাপেক্ষে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করবে।

সম্প্রতি পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষকদের আবেদন সাপেক্ষে আপগ্রেডশন বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত মানসম্মত জার্নাল প্রকাশনার সংখ্যা ও সময়ের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য সিন্ডিকেটে উপস্থাপন করা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবিরকে আহ্বায়ক করে শিক্ষাছুটি সংক্রান্ত ইউজিসির অভিন্ন নীতিমালা ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বের নীতিমালা বিবেচনায় এনে একটি যুগোপযোগী শিক্ষাছুটি নীতিমালা প্রণয়নের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটি শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা সমুন্নত রেখে নতুন শিক্ষাছুটি নীতিমালা প্রণয়ন করে, যা পরবর্তী সময়ে সিন্ডিকেটে অনুমোদিত হয়।

বর্তমানে ঢাকাস্থ গেস্ট হাউজ অতীতের মতোই চালু আছে। নির্ধারিত হারে ভাড়া দেওয়া সাপেক্ষে পূর্বের নিয়মেই শিক্ষক-কর্মকর্তারা গেস্ট হাউজ ব্যবহার করবেন।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী, ডিন ও বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কর্তৃক তা অনুমোদিত হয়। কিন্তু গত ১৩ মার্চ তারিখে সকল অনুষদের ডিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা ও আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ডিন নিয়োগ জরুরি হয়ে পড়ে। ফলে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং আইনকে সমুন্নত রাখার স্বার্থে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় গতবারের ন্যায় ডিন নিয়োগপূর্বক অনুমোদন করা হয়।

অধ্যাপক পদে গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ চেয়ে শিক্ষকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং দীর্ঘদিনের জটিলতা নিরসনে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক (গ্রেড-১) ও কুবির সিন্ডিকেট সদস্যকে সংযুক্ত করে ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঐ সদস্যের উপস্থিতিতেই উচ্চতর গ্রেড প্রদান সম্পন্ন করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের পর থেকেই প্রশাসন ও শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে৷ সর্বশেষ দ্বিতীয় ধাপে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত আটদিন শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত আসে।