কক্সবাজারের উখিয়ার ১০টি হাটবাজার ইজারা প্রদান করে ১৪৩০ বাংলা সনে ১২ কোটি ২৫ লাখ ৭৬ হাজার ১০৫ টাকা সরকার রাজস্ব আয় করলেও কাঙ্খিত কোন উন্নয়ন হয়নি হাট বাজার গুলোতে। তৎ মধ্যে হাটবাজার ইজারা সম্পন্নের মাধ্যমে ৯ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ৮৮৪ টাকা রাজস্ব আয় করে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন। ভ্যাট ও ট্যাক্স বাবদ রাজস্ব আদায় করা হয় ২ কোটি ৪৫ লাখ ১৫ হাজার ২২১ টাকা।

চলতি বছর সর্বোচ্চ দামে ইজারা হয়েছে বালুখালী বাজার। বাজারটি ৩ কোটি ৩০ লাখ ৭৩০ টাকায় ইজারা হয়েছিল। উখিয়ার ১০টি হাটবাজার ইজারার মাধ্যমে প্রতি বছর সরকার বিপুল পরিমাণে রাজস্ব পেয়ে থাকে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সুত্রে জানান যায, ১৪৩১ বঙ্গাব্দের জন্য উখিয়া উপজেলার ১০ টি হাট বাজারের ইজারা দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে চলতি বছর সর্বোচ্চ মুল্যে ইজারা সম্পন্ন হওয়া বালুখালী বাজারের ইজারা কার্যক্রম আপাতত / সাময়িক ভাবে বন্ধ রয়েছে।

চলতি বছর ইজারা সম্পন্ন করা ১০টি বাজার হলো পালংখালী বাজার, বালুখালী বাজার, কুতুপালং বাজার, দারোগা বাজার, কোটবাজার, ভালুকিয়া বাজার,পাতাবাড়ী বাজার, মরিচ্যা বাজার, রুমখাঁ বাজার ও সোনারপাড়া বাজার।

উখিয়া ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে বাজার গুলোর চমৎকার সমন্বয় থাকায় উক্ত ১০টি বাজারের ইজারা থেকে বিপুল পরিমাণে রাজস্ব পেয়ে থাকে সরকার। কিন্তু সে তুলনায় দীর্ঘদিন ধরে উখিয়া উপজেলার হাটবাজার গুলোতে দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন হয়নি। যার কারনে অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্নতার কারনে নিত্যদিন কেনাকাটা করতে গিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হয় চরম ভাবে। এই ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের কোন মাথাব্যাথা নেই।

স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, প্রতিবছর হাটবাজার সিন্ডিকেটের সদস্যরা নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে প্রতিবছর কয়েক কোটি টাকা সরকারকে রাজস্ব বঞ্চিত করে।

চলতি, ১৪৩০ বাংলা সনে হাটবাজার সিন্ডিকেটের সদস্যরা নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে কুতুপালং বাজারে সাড়ে ৭২ লাখ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত করেছে সরকারকে। কুতুপালং বাজার ১৪২৯ বাংলা সনে ইজারা ছিলো ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ ২ কোটি ৮১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। ১৪৩০ বাংলা সনে নেগোসিয়েশন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তা কমিয়ে নিয়ে আসেন ২ কোটি ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকায়।

চলতি, ১৪৩০ বাংলা সনে হাটবাজার সিন্ডিকেটের সদস্যরা নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে দারোগা বাজারে ২৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা রাজস্ব বঞ্চিত করেছে সরকারকে। দারোগা বাজার ১৪২৯ বাংলা সনে ইজারা ছিলো ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ ১ কোটি ৮৭ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। ১৪৩০ বাংলা সনে নেগোসিয়েশন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তা কমিয়ে নিয়ে আসেন ১ কোটি ৫৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

চলতি, ১৪৩০ বাংলা সনে হাটবাজার সিন্ডিকেটের সদস্যরা পাতাবাড়ী বাজারে ১৮ হাজার টাকা রাজস্ব বঞ্চিত করেছে সরকারকে। ১৪২৯ বাংলা সনে ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ ২ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা। ১৪৩০ বাংলা সনে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তা কমিয়ে নিয়ে আসেন ১ লাখ ৯৪ হাজার ১২৫ টাকা।

উল্লেখ্য,১৪২৮ বাংলা সনে পাতাবাড়ী বাজারের ইজারা মূল্য ছিলো ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ ১১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। হাটবাজার সিন্ডিকেটের সদস্যরা নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে তা কমিয়ে এখন মাত্র ২ লাখ টাকায় নিয়ে এসেছে। যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও কম।