নদীমাতৃক বাংলার নদীমাতৃক জেলা ভোলার সফল ফ্রিল্যান্সিং উদ্দ্যোক্তা শাকিল ইসলামের গল্প উঠে আসছে আজকের প্রসঙ্গে। অন্য সাধারণ মানুষের মতো ১০টা থেকে ৫টার গদ বাঁধা চাকরীর জীবন কখনোই পছন্দ ছিলো না তার। ফলে কর্মময় একটি স্বাধীন জীবনের সূচনা করতে নিজের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তেই ফ্রিল্যান্সিং করার অভিপ্রায় করলেন তিনি।
শুরুর দিকের গল্পটা এতো সহজ সাবলীল ছিলো না তার জন্য। অনলাইন এবং অফলাইনের ভূরি ভূরি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান আর প্রলোভনের ফাঁদে আঁটকে প্রতারিত হতে হতে এক পর্যায়ে হাল ছেড়ে দেয়ার দশা। তারপর আবারো মনে জেদ চাপিয়ে নিজের সঙ্গে নিজেকে প্রশ্ন করে নতুন উদ্দ্যোমে শুরু করা। ফ্রিল্যান্সিং জগতের হাতেখড়িতে প্রথম অবদান তার বড় ভাই ইলিয়াস কোবরার। যিনি প্রথম দিধাহীন ভাবে কিছু পথের দিশা দেখিয়েছিলো শাকিলকে। যার পথ অতিক্রম করে শুরুতে দক্ষ কারিগরী জ্ঞান লাভ করা, কাজ এবং দক্ষতা অনুযায়ী ধীরে ধীরে ফ্রিল্যান্সীং জগতের মার্কেট প্লেসে প্রবেশ করা।
এখানেও প্রথম প্রতিবন্ধকতা ছিলো কাজ না পাওয়ার হতাশা। প্রতিনিয়ত যোগাযোগ তৈরীর পাশাপাশি শ্রম এবং অধ্যবসায়ের বদৌলতে কাজ আসতে শুরু করে শাকিলের কাছে। এবং তা ধীরে ধীরে একটি প্রাতিষ্ঠানিক ভেঞ্চারে রূপ নেয়। শাকিল এবং ইলিয়াস কোবরার সাফল্যের কারনে, তার পরিবারের অন্য চারজন সদস্যও এতে মনোনিবেশ করে। এবং তাদের সঙ্গে নিয়মিত কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যেতে থাকলেন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে। যেখান থেকে গড়ে প্রায় প্রত্যেকে ৭শত থেকে হাজার ডলার বৈদেশিক মূদ্রা আনছেন নিয়মিত।
পিতা জনাব মোঃ নুরুল হক সরদারের এতো এতো সন্তানের মধ্যে শাকিল কেন আজকের আলোচনায় তার প্রসঙ্গ যদি বলা হয়, তবে জনহীতকর এই প্রকল্পটি কেবল নিজের মধ্যে লুকিয়ে না রেখে, তার আবাস্থ ইউনিয়নের অন্যান্য সব সমবয়সীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি নিয়মিত অংশ রাখছে প্রযুক্তিগত সহায়তায়। তথ্য ও প্রযুক্তির এই যুগে যেখানে সবাই বিভিন্ন কায়দায় মানুষকে বিভ্রান্ত করে আসছে, সেখানে শাকিলের উদ্দ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার। তার হাত ধরে এ যাবতকাল অব্দি প্রায় শতাধিক ফ্রিল্যান্সিং এক্সপার্ট বর্তমানে আন্তর্জাতিক মার্কেট প্লেসে কাজ করছে। কাজের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে নিজেকে ব্যস্ত রাখছেন তিনি।