ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের আড়াইসিধা ইউনিয়নের পুরো এলাকায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) এর আওতায় আনা হয়েছে।

সোমবার বিকালে জেলার আশুগঞ্জের আড়াইসিধা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে আড়াইসিধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সায়েম মিঠু ও ন্যাশনাল ক্যবাল টিভি নেটওয়ার্ক এর নিজস্ব অর্থায়নে এই সিসিটিভির কার্যক্রম উদ্ভোধন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান উপস্থিত হয়ে এই সিসিটিভি আওতাভূক্তকরণের উদ্ভোধন করেন।

আড়াইসিধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সায়েম মিঠুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাক, আড়াইসিধা ইউনিয়েনের প্রবীণ মুরুব্বী আব্দুল হকসহ ইউপি সদস্যসহ এলাকার মুরুব্বীরা উপস্থিত ছিলেন।

আড়াইসিধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সায়েম মিঠু বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য শুধু মানুষ স্মার্ট হলেই হবে না। এলাকার সবকিছু স্মার্ট হতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় আমার ও ন্যাশনাল ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক এর সার্বিক সহযোগীতায় আমরা পুরো এলাকাকে সিসিটিভির আওতায় আনার পরিকল্পনা করি। ইতোমধ্যে আড়াইসিধার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে তাতে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সিসিটিভি স্থাপনের পর এলাকার চুরি, ছিনতাই ও ইভটিজিং অনেকটাই কমে এসেছে।

ন্যাশনাল ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কের মালিক আল মামুন বলেন, এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আড়াইসিধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সায়েম মিঠুর পরামর্শে আমরা এলাকার প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ যায়গায়ও স্থাপনার সামনে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে সিসিটিভি স্থাপন করি। ইতোমধ্যে ৩২ টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। আরো ৩২ টি ক্যামেরা স্থাপন করার কাজ চলমান আছে। প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে আমরা আরো ক্যামেরা স্থাপন করব।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, একটি পুরো ইউনিয়নের সিসিটিভি স্থাপনের বিষয়টি আমার কাছে খুবিই প্রসংশনীয় উদ্যোগ বলে মনে হয়েছে। আমরা এভাবে যদি সবগুলো ইউনিয়ন এই উদ্যোগ নেয় তাহলে চুরি, ছিনতাই ও ইভটিজিং কমে আসবে।