ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার ধলাইরচর বরকতিয়া আলিম মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসানের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিভিন্ন ফেস্টুন, প্লেকার্ড নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন।

এরআগে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা। মিছিলটি আলফাডাঙ্গা সদর বাজারের প্রধান প্রধান স্থান প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে মানববন্ধনে মিলিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, ধলাইরচর বরকতিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. মোছলেম উদ্দীন, স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন, মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী আনোয়ার হোসেন, আরবি প্রভাষক মো. হোসাইন আহম্মেদ এরশাদ, সহকারী শিক্ষক আক্তার হোসেন, আহত দাখিল পরীক্ষার্থীর চাচাতো ভাই জুবায়ের হোসেন, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আবু মুসা, মারিয়া খানম, আফসানা খানম প্রমুখ।

বক্তারা দাখিল পরীক্ষার্থী মেহেদী হাসানের ওপর বর্বরোচিত হামলার সাথে জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেহেদী হাসান গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ধলাইরচর বরকতিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষা শেষে মোটরসাইকেলে ফুফা আলী আকবারের বাড়িতে আসতেছিলেন। কিন্তু মোটরসাইকেল অধিক গতিতে চালানো হয়েছে অভিযোগ তুলে কিশোর গ্যাংয়ের পাঁচ সদস্য মেহেদী হাসানের ওপর হকিস্টিক ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। মেহেদী হাসান বর্তমান রাজধানীর মহাখালীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পরবর্তীতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেহেদী হাসানের ফুফা আলী আকবার সিসি টিভির ফুটেজ দেখে সনাক্ত করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য শুভ কাজী, তামিম, রাকিব, অপু ও নয়নের বিরুদ্ধে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর ঘটনার মূলহোতা শুভ ও তার সহযোগী তামিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা বলেন, ‘ঘটনার ওইদিন রাতেই থানায় একটি মামলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মামলার দুই এজাহারভুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’