ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় দুর্বৃত্তের অতর্কিত হামলায় মো. রফিকুল ইসলাম (২৩) নামে এক ছাত্রলীগ নেতা হাসপাতালের বেডে ব্যথার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। তার এ করুণ অবস্থায় হতাশায় কাতর পরিবারের সদস্যরা।
রফিকুল ইসলাম আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকার বুড়াইচ নিচুপাড়া এলাকার বাসিন্দা বাচ্চু শেখের ছেলে। সে আলফাডাঙ্গা পৌর শাখা ছাত্রলীগের ১নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকার বুড়াইচ নিচুপাড়া এলাকার রানা নামে এক যুবক তার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন। ছবিতে একই এলাকার বুড়াইচ সর্দারপাড়া এলাকার বাসিন্দা জয় সর্দার ‘হা হা রিঅ্যাক্ট’ দেয়। এই নিয়ে দুই মহল্লার লোকজনের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বুড়াইচ সর্দারপাড়া মহল্লার বাসিন্দা হামজা সর্দারের নেতৃত্বে ইশানুর, জয়, শরিফুল সর্দারসহ আরও ৪-৫ জন যুবক বুড়াইচ নিচুপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলামের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় লোহার হাতুড়ি ও রড দিয়ে রফিকুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন রফিকুলকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য রফিকুল ইসলামকে রাজধানীর বনশ্রী ফরাজী প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে রফিকুল ইসলাম সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনায় আহত রফিকুল ইসলামের চাচা আলী আহম্মেদ বাদী হয়ে ৯ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইশানুর সর্দার জানান, ‘ফেসবুকের পোস্টের ছবিতে হা হা রিঅ্যাক্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধের সৃষ্টি হয়। তারা আগে আমাদের দুইজনকে মারধোর করেছে। পরে আমরা তাকে মেরেছি।’
আলফাডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রায়হান আজিজ খান জানান, ‘রফিকুল ইসলাম ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।’
আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’