দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ‘গালফুড’ মেলাগত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এই মেলা শেষ হয় ২৪ ফেব্রুয়ারি। মেলায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিশ্চিত ক্রয় আদেশ এসেছে প্রায় ১ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার। যা প্রায় ১৫১ কোটি টাকা। যা আগামী দিনগুলোতে পণ্য দেয়া সাপেক্ষে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো আয় করতে পারবে।

মেলায় ক্রয়াদেশে এগিয়ে রয়েছে প্রাণ এগ্রো লিমিটেড ও এলিন ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেড। শুক্রবার মেলার শেষ দিনে এ তথ্য জানায় ইপিবি। তাদের দাবি, বিগত বছরের তুলনায় এবার ক্রয়াদেশ বেড়েছে। পাঁচ দিনের এই মেলায় এবার ১৯০টি দেশের প্রায় সাড়ে ৫ হাজার প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে।

দুবাইয়ের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের জা’আবিল হল ফোরে ৩৩৬ স্কয়ার মিটার জায়গা ভাড়া নিয়ে মেলায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ড তৈরির লক্ষ্যে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্যের গুণগত মানের পাশাপাশি এবার প্যাকেজিংকেও গুরুত্ব দিয়েছে। শেষদিন মধ্য দুপুর পর্যন্ত বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত সময় পার করে তারা।

এ ছাড়া মেলায় খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি পরিবেশক প্রতিষ্ঠানগুলোও নতুন নতুন পণ্য সম্পর্কে জানতে হাজির হয়েছে। বিশ্বের কোন অঞ্চলে, কোন ধরনের পণ্যের সম্ভাবনা ও চাহিদা বেশি রয়েছে সে সম্পর্কেও জানতে পারছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

মেলায় অংশগ্রহণকারী একাধিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান, বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের বাজার সম্প্রসারণে ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়েছে বাংলাদেশ। এই পরিধি বাড়াতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে খাদ্য পণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশেষ করে বহির্বিশ্বে বড় প্রদর্শনীগুলোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশে উৎপাদিত পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা, গুণগত মান যাচাই ও রপ্তানি চাহিদা তৈরিতে সক্ষমতা বাড়াচ্ছে তারা। দুবাইয়ে এই মেলায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ তার সক্ষমতা যাচাইয়ে আরও একধাপ এগিয়ে গেছে।

দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আশীষ কুমার সরকার বলেন, গ্লোবাল মার্কেটে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো সাড়া পাচ্ছে। এটি ইতিবাচক দিক। বিশ্ববাজারে দেশীয় পণ্যের চাহিদা বাড়ায় পরবর্তীতে এই মেলায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও বাড়বে। আগামী আসরে আমরা পরিসর বাড়ানোর জন্য এখন থেকেই কাজ শুরু করেছি।