কুমিল্লা সিটির উপনির্বাচন নির্বাচন যত কাছে আসবে, অপপ্রচার তত বাড়বে। সেভাবে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। নির্বাচন যত কাছে আসবে আরও বেশি করে এ ধরনের প্রচারণা চালাবে তারা। আমি জানি এটা চালাবে।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরের দিকে কুমিল্লা শহরের লাকসাম রোডের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। শুরুতেই সাম্প্রতিক কুমিল্লা সিটির বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি। পরে এ সিটির মেয়র প্রার্থী নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম চলমান বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।

বাংলাদেশের মতো কুমিল্লায়ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেই চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা নিয়ে এক ধরনের অপপ্রচার শুরু হয়েছে। শুধু এটা নয়, ডিজিচাল মাধ্যম ব্যবহার করে নানা ধরনের অপপ্রচার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে দেশের মানুষকে সচেতন হতে হবে। তাদের অপপ্রচারে কান দেবেন না, বিভ্রান্ত হবেন না।

নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম বলেন, বাংলাদেশের পাশাপশি কুমিল্লা শহরও স্থিতিশীল থাক, উন্নতি করুক, দেশের মানুষ বিশ্বে যে সম্মান পাচ্ছে সেটা পাক বা কুমিল্লার মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা আসুক– এটা তো অপপ্রচারকারী ও লুটেরা চায় না। তারা ক্ষমতায় থাকতে লুটেপুটে খেতে মরিয়া হয়ে উঠছে। সেই খাওয়ার ভাগভাটোয়ারা নিয়ে লুটেরা এখন একে অপরের দিকে কাদাঁ ছোড়াছুড়ি শুরু করেছে। পুরানো গভীর সম্পর্কের জন্য তাদের মনোকষ্ট। কিছু তো আছে কুমিল্লার মাটি ব্যবহার করে অন্য কুমিল্লা শহরকে আক্রমণ করবে। আমার কুমিল্লাকে নিয়ে খেলবে। এটা তো অন্তত আমি হতে দিতে পারি না, এটা তো আমি হতে দেবো না।

এতোদিন কোনও না কোনও অপরাধ করে এখন অপপ্রচার চালাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা তো চিহ্নিত লোক। হ্যাঁ, মানুষকে তারা বিভ্রান্ত করছে, এটা ঠিক। আমি কুমিল্লাবাসীকে বলবো, এই সমস্ত অপপ্রচারে কান দেবেন না, বিভ্রান্ত হবেন না। নিজেদের মনে প্রশ্ন করতে হবে, কেমন ভালো আছেন? দেশটার পাশাপশি কুমিল্লা সিটি ভালো চলছে কিনা, আমাদের প্রানের সিটি এগোচ্ছে কিনা, কুমিল্লা শহরের আরও কোন উন্নতি হবে কিনা।

কুমিল্লা সিটি ঐতিহ্যের শহর, শান্তির শহর, সংস্কৃতির শহর কুমিল্লার এখন কি অবস্থা আপনারা সবাই জানেন। এই শহর আজ ভয়ের শহরে পরিণত হয়েছে, কথা বলার স্বাধীনতা নেই। নায্য কথা বললে কিংবা গঠনমূলক সমালোচনা করলে তাকে নানাভাবে হেনস্তা হতে হয়। পরিকল্পিত ভাবে সিভিল সোসাইটি গড়ে উঠতে দেয়া হয়নি তার পরিবর্তে তৈরী হয়েছে স্তাবক শ্রেণী। মানহীন পরিকল্পনাবিহীন উন্নয়ন।

কুমিল্লা সিটিতে আবার সন্ত্রাস যুগে প্রবেশ করবে, ভোট চুরি, ভোট ডাকাতির যুগে প্রবেশ করবে কিনা এটা জনগণের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছি, বলেন তিনি।