১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদদের স্মরণে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও স্বেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধকরণ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি করেছে হৃদয়ে আলফাডাঙ্গা নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ কর্মসূচির সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমীন ইয়াছমীনের সভাপতিত্বে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রজত বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম সুজা, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হাসান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভবেন বাইন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক ও উপজেলা ক্যাবের সভাপতি কবীর হোসেন প্রমুখ।

ক্যাম্পেইন চলাকালীন সহযোগিতা করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. রুহুল আলম, হৃদয়ে আলফাডাঙ্গা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সাংবাদিক মিয়া রাকিবুল, মো. মনিরুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলাম তৌকির প্রমুখ।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২ এপ্রিল আলফাডাঙ্গা উপজেলার একঝাঁক উদ্যোমী তরুণ যুবক হৃদয়ে আলফাডাঙ্গা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। ‘আমরাই গড়বো নান্দনিক আলফাডাঙ্গা’ স্লোগানকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠালগ্নের পর থেকেই সংগঠনটির সদস্যদের তারুণ্যদীপ্ত উদ্যম, একাগ্রতা ও অদম্য ইচ্ছশক্তির জোরে প্রত্যেকেই তাদের নিজের লেখাপড়া কিংবা কর্মের পাশাপাশি স্বেচ্ছায় সমাজের নানা রকম জনহিতকর কর্মকাণ্ড পালন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় সংগঠনটি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদদের স্মরণে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও স্বেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধকরণ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

এবিষয়ে হৃদয়ে আলফাডাঙ্গা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা জানান, ‘রক্ত দিয়ে বাংলা ভাষা পেয়েছি, লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি একটা দেশ। সেই শহীদদের স্মৃতি হৃদয়ে ধারণ করা উচিত এই প্রজন্মকে। যারা মাতৃভাষার জন্য জীবনকে উৎসর্গ করেছেন তাদের স্মৃতি স্মরণেই আমাদের এই কর্মসূচি।’