ঢাকার কেরানীগঞ্জে চিরকুট লিখে আলো আক্তার (২৩) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। নিহত আলো আক্তার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার রামেরকান্দা গ্রামের আনোয়ার মিয়ার মেয়ে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের নগরবাঘৈর এলাকার নাসির মিয়ার বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করে পুলিশ। চিরকুটে লিখা ছিলো- “প্রিয় স্বামী, আমি আমার জীবনে অনেক বড় ভুল করেছি। আমার মেয়েটাকে দেখ। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। আমার ভুলের কারণে আমি এই পৃথিবী ছাড়তে বাধ্য হলাম। ইতি তোমার বউ।” স্থানীয়রা জানান, সাত বছর আগে মিলন ও আলো দম্পত্তির বিয়ে হয়। আসিয়া আক্তার নামে তাদের ৫ বছরের একটি কন্যা সন্তানো রয়েছে। স্বামী মিলন হোসেন কুয়েত প্রবাসি।

নিহত গৃহবধুর মা সীমা বেগম বলেন, আমার মেয়ে আমার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল। কিন্তু কাল তার শাশুড়ী ফোন দিয়ে শশুর বাড়িতে নিয়ে এসেছে। আজ সকলে শুনি আমার মেয়ে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। আমি আমার মেয়ের মৃত্যুর বিচার চাই।নিহতের শ্বশুর বাড়ির স্বজনরা জানায়, প্রবাসী স্বামীর সাথে আলো আক্তারের মোবাইল ফোনে প্রায়ই ঝগড়া হয়। শুক্রবার রাতে ঝগড়া হলে ছোট মেয়েটি আলো আক্তার তার ঘর থেকে দাদা-দাদির ঘরে দিয়ে আসে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে আলো আক্তারের শশুর নাসির মিয়া জানালার গ্লাস দিয়ে দেখে পুত্রবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এস আই আল নূর তারেক জানান, ৯৯৯ মাধ্যমে খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙে ভেতর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোন এক সময় মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে। মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এস আই তারেক বলেন, ৯৯৯ মাধ্যমে খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙে ভেতর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোন এক সময় মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুটটি উদ্ধার করি। মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।