চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি শিরীষতলায় চলছে অমর একুশে বই মেলা। মেলার মঞ্চে প্রতিদিন মোড়ক উন্মোচন হচ্ছে নিত্য নতুন লেখদেকদের বিভিন্ন বই। সপ্তাহিক ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় হলেও অন্যান্য দিন গুলোতে উপস্থিতি একেবারেই কম। মেলায় বিনোদনের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্টান চল্লেও তা যতেষ্ট নয় বলে অভিযোগ দর্শকদের। তবে সিআরবি এলাকাটি বই মেলার জন্য একেবারেই নতুন তাই প্রচারনার ঘাটতি থাকায় লোক লোক সমাগম কম বলে দাবী প্রকাশনা প্রতিষ্টান প্রতিনিধিদের।

আয়োজক কমিটি সূত্র জানায়, এবারে মেলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্টানকে ১৫৪ টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলে। তবে শুক্রবার বা ছুটির দিনে মেলা চলে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।

শুক্রবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে- বাতিঘর, প্রথমা, অন্যধারা, বাবুই, সাহিত্য বিচিত্রা, ভোরের কাগজ প্রকাশন, মূর্ধন্য, চন্দ্রবিন্দু, তৃতীয় চোখ, লাবণ্য, আবির প্রকাশন, গলুই, বলাকা, খড়িমাটি, শব্দশিল্প, কাকলী, কালধারা, বিদ্যানন্দ, কথাপ্রকাশ, নন্দন, শৈলী প্রকাশন, বলাকা, ইতিহাসের খসড়া, রাদিয়া, গল্পকার, প্রজ্ঞালোক, নালন্দা, শিশু প্রকাশ, প্রতীক, আদিগন্ত, শিখা, সত্যয়ন, নন্দন, শালিক, কথা বিচিত্রা, কথা প্রকাশ, আফসার ব্রাদার্স, গাজী, কিডস পাবলিকেশন, হাওলাদার, ফুলঝুড়ি, নাগরী, ফুলকি, জ্ঞানকোষ, কিংবদন্তি, প্রথমা, দ্বিমত, সালফি, ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, মাইজভান্ডারী প্রকাশন, আলোকধারা বুকস, লাল সবুজসহ বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের স্টল রয়েছে।

মেলায় বাঁশের বেড়া দিয়ে তৈরি বিদ্যানন্দের স্টলটিকে ঘিরে পাঠক দর্শকদের কৌতূহল দেখা গেছে। সেখানে মেয়েদের ও ছেলেদের বই পড়ার আলাদা আলাদা স্থান রয়েছে। সাংকৃতিক অনুষ্টানের প্যাভিলিয়নে দর্শকদের উপস্থিতি একেবারেই কম। উপস্থিত অনেকের সাথে কথা বলে জানাগেছে, মেলার মঞ্চে দর্শকদের চাহিদার অনুকূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্টান নেই তাই দর্শক কম। মেলায় লোক সমাগম বাড়াতে হলে ভালো মানের শিল্পীগোষ্ঠীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও তৃতীয় চোখ প্রকাশনার কর্ণধার আলী প্রয়াস বলেন, সিআরবিতে এবারেই প্রথম বই মেলার আসর। আয়োজক কমিটির ব্যাপক প্রচারনার অভাবে লোক সমাগম গতবারের চেয়ে অনেক কম। ছুটির দিনে মেলা জমজমাট হলেও বাকী দিন গুলোতে অনেকটা নিষ্প্রাণ। লোক সমাগম বাড়াতে গেলে প্রচারণার দিকে জোর দিতে হবে। অন্যতায় প্রকাশনা প্রতিষ্টান গুলো লোকসানে পড়তে পারে।

আয়োজকদের কোন ঘাটতি নেই দাবী করে মেলার আহবায়ক কাউন্সিলর মঞ্জু বলেন- প্রতিদিন মাইকিং সহ অনলাইনে আর অফলাইনে দুই ভাবেই প্রচার অব্যাহত আছে। ছুটির দিন গুলোতে লোকসমাগম সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে হয়। সব মিলিয়ে সামনের দিন গুলোতে লোক সমাগম বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী। গত ৯ ফেব্রুয়ারী শুরু হওয়া ২৩দিন ব্যাপী এই মেলা চলবে আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত।