পাকিস্তানের সাধারণ পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের অভাবনীয় সাফল্যে জটিল সমীকরণে ঝুলছে দেশটির সরকার গঠন। একদিকে, নওয়াজ-বিলাওয়ালের সম্ভাব্য জোট সরকার অন্যদিকে ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে ছোট কোনো দলে ভেড়ানো।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের মুখপাত্র রাউফ হাসান বলেছেন, মজলিস ওয়াহদাত-ই-মুসলিমিন (এমডব্লিউএম)-এর সঙ্গে কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে জোট গঠন করবেন তারা। ইমরান খান জোট গঠনের অনুমতি দিয়েছেন।

রাউফ হাসান বলেছেন, জামায়াত-ই-ইসলামির সঙ্গে খাইবার পাখতুনখোয়াতে জোট গঠন করবে পিটিআই। এতে করে সংরক্ষিত আসন পাওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন, সরকার গঠন নিয়ে ইমরান খানের স্পষ্ট বার্তা হলো-যারা নির্বাচনে জিতেছে সরকার গঠনের অধিকার তাদের। পিটিআই মুখপাত্র বলেন, ক্ষমতার চালিকাশক্তিদের অবশ্যই নিজেদের কর্মকাণ্ডের আত্মবিশ্লেষণ করতে হবে।

কয়েকটি মামলায় ৩০ বছরের বেশি কারাদণ্ড ভোগ করছেন ইমরান খান। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তার দল পিটিআই অংশগ্রহণ করতে পারেনি। তবে ভোটে দলটির সমর্থন পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন।

সাধারণ পরিষদের ২৬৪ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৩ আসনে জয় পেয়েছেন ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ৭৯ আসন পেয়েছে পিএমএল-এন এবং পিপিপি পেয়েছে ৫৪ আসন। মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। একক বৃহত্তম দল হয়েছে পিএমএল-এন। পিপিপির সঙ্গে জোট সরকার গঠনে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দলটি।

উল্লেখ্য, দলগতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্র জয়ী প্রার্থীদের কোনও একটি নিবন্ধিত দলে যোগদান করতে হবে। তা না হলে স্বতন্ত্ররা সংরক্ষিত আসনের ভাগ পাবেন না।

বার্তা বাজার/জে আই