মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ৪২ নং খালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়াকে কেন্দ্র করে সহকারী শিক্ষক গৌতম চন্দ্র দাস একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফুলমালা হীরাকে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। এ ঘটনায় সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার তপা বিশ্বাস অভিযুক্ত শিক্ষক গৌতম চন্দ্র দাসকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বরখাস্ত করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিনয় কৃষ্ণ বাড়ৈ ও সহকারী শিক্ষিকা লক্ষী রানী বিশ্বাস।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে স্কুলে আসেন রাজৈর উপজেলার ৪২ নং খালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গৌতম চন্দ্র দাস। স্কুলে এসেই তিনি বাসায় চলে যান। পরে ১১টার দিকে আবার স্কুলে আসেন। এসময় ক্লাস না নিয়ে বাসায় চলে যাওয়ার কথা শিক্ষিকা ফুলমালা জিজ্ঞাসা করায় তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে গৌতম চন্দ্র দাস চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে ফুলমালাকে আহত করেন। পরে তিনি রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

প্রধান শিক্ষক বিনয় বাড়ৈ বিষয়টি খালিয়া ক্লাস্টারের দায়িত্বরত সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার তপা বিশ্বাসকে জানালে তিনি গৌতম চন্দ্র দাসকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বরখাস্ত করেন। এছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক গৌতম চন্দ্র দাস বলেন, ফুলমালা আমাকে আগে আঘাত করে, পরে আমি তাকে মারধর করি।

নির্যাতিতা শিক্ষিকা ফুলমালা বলেন, আমাকে গৌতম চন্দ্র দাস চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। আমি এর বিচার চাই।

প্রধান শিক্ষক বিনয় বাড়ৈ বলেন, “বিষয়টি অত্যন্ত দু:খজনক। ঘটনা ঘটার সাথে সাথে আমি রাজৈর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানালে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।’

সহকারী রাজৈর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও খালিয়া ক্লাস্টার তপা বিশ্বাস বলেন, “শিক্ষিকা ফুলমালাকে মারধরের ঘটনা শুনে এবং ঘটনার সত্যতা পেয়ে আমি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে কথা বলে অভিযুক্ত শিক্ষক গৌতম চন্দ্র দাসকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

বার্তা বাজার/জে আই