পুর্ব শত্রুতার জের ধরে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ২নং সদর ইউনিয়নের নরজনা গ্রামের ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের উপর সন্ত্রাসী হামলা করেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ঈগল প্রতীকের কর্মীরা।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় হামলার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে তার স্ত্রী সোমা আক্তার (২৬) ঘাটাইল থানায় মোঃ নাসির (৪২) মোঃ আবেদ আলী (৫৫) মোঃ রফিক (৪৫) মোঃ নজরুল (৪০) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৫/৬জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায় উপজেলা নরজনা গ্রামের ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম কে নির্বাচনের পুর্ব থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী লোকজন বিভিন্ন সময় তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ী ফিরার পথে রামপুর নামক স্থানে আগে থেকে উৎপেতে থাকা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রীরা পথরোধ করে গালাগাল করতে থাকে। শহিদুল গালি দিতে নিষেধ করায় তার উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
উপুর্যপুরি কিল ঘুষি দিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্নক জখম ও পায়ের আঙ্গুল ভেঙ্গে ফেলে রেখে চলে যায়। আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এসে প্রথমে গোপালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে ২নং সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হীরা জানান নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতায় যুবলীগ নেতা কে আহত করার জন্য তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
ঘাটাইল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) ঘটনা সততা স্বীকার করে জানান অভিযোগ পেয়ে সরজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছি মামলা প্রক্রিয়াধিন।
হামলার বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম লেবু মুঠোফোনে জানান বর্তমান সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার অনুসারীরা একটি আতংক সৃষ্টি করে নৌকার সমর্থকদের উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে । সারা বাংলাদেশে কোন মারামারি নেই, অথচ ঘাটাইলের নৌকার অনুসারীদের বাড়িতে হামলা করে প্রায় দুই শতাধিক আওয়ামীলীগ যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের পিটিয়ে আহত করেছে।
বার্তা বাজার/জে আই