মাদারীপুরের রাজৈরে কুমার নদে মাছ ধরতে গিয়ে ডাকাতের ককটেলের আঘাতে ইমন মালো (১৮) নামে এক জেলে আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে কুমার নদের উপজেলার কবিরাজপুর অংশে এ মারাত্মক ঘটনা ঘটে।

এসময় ডাকাতদের ট্রলার থেকে কয়েকটি অব্যবহৃত ককটেল, লোহার রড, চাকু, তালা কাটার কেঁচি উদ্ধার করে পুলিশ। ইমন কবিরাজপুর ইউনিয়নের শ্রীকৃষ্ণদী গ্রামের রাম প্রসাদ মালোর ছেলে। সে বর্তমানে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

ভূক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার সন্ধায় ইমন ও তার বাবা রাম প্রসাদসহ ৭/৮ জন ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে ৩ নদীর মোহনায় মাছ ধরতে যান। তারা জাল পেতে মাছ ধরার অপেক্ষায় বসে থাকেন। পরে ভোররাত আনুমানিক ৪ টার দিকে অপর একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে ৮/১০ জনের একটি ডাকাত দল শ্রীনদীর দিক থেকে উৎরাইলের দিকে যাচ্ছিল। এসময় ডাকাতদের ট্রলারে জেলেদের জাল জড়িয়ে ছিড়ে যায়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়।

একপর্যায়ে ডাকাতরা ককটেল নিক্ষেপ করে বিস্ফোরন ঘটায়। সেই বিস্ফোরনে ইমন মালো গুরুতর আহত হয়। এসময় ডাকাতরা ট্রলার নদের পাড়ে ভিড়িয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ডাকাতদের ট্রলার থেকে কয়েকটি অব্যবহৃত ককটেল, লোহার রড, চাকু, তালা কাটার কেঁচি উদ্ধার করে নৌ ফাঁড়ির পুলিশ। সেখান থেকে ইমনকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ইমনের সাথে থাকা জেলেদের প্রধান অসীম মালো জানান, ভোর রাতে ডাকাতরা ট্রলার নিয়ে দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় কলাতলা ফাড়ির পুলিশ তাদের সিগনাল দেয়। তারা আরও দ্রুত যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় আমাদের জাল ছিড়ে তারা পালানোর সময় আমরা এবং পুলিশ যৌথভাবে ধাওয়া করলে ট্রলার ফেলে নীচে নেমে পালিয়ে যায়।

কলাতলা নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই রুহুল আমিন জানান, ভোরের দিকে একটি ট্রলারকে আমরা সিগনাল দিলে তারা দ্রুতগতিতে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। জেলেরা এবং আমরা ধাওয়া দিলে ডাকাতরা ট্রলার রেখে ককটেলের বিস্ফোরন ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এ বিস্ফোরনে ইমন পায়ে আঘাত পায়। এসময় ট্রলার থেকে দুটি অব্যবহৃত ককটেল, লোহার রড, চাকু, তালা কাটার কেঁচি উদ্ধার করা হয়েছে।

বার্তা বাজার/জে আই