সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় ভবনটিতে দীর্ঘদিন যাবৎ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় অফিসের কার্যক্রম চলছে। প্রতিনিয়ত ভবনটি থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। বৃষ্টিতে দেয়াল বেয়ে পানি পড়ায় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিয়ে বিপাকে পরতে হয় দায়িত্বে থাকা অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।

এছাড়া কার্যালয়টির সীমানা প্রাচীর (বাউন্ডারি) না থাকায় স্থানীয়ভাবে কার্যালয়টি সম্পূর্ণ অনিরাপদ।

খুব দ্রুত সময়ে ভবনটি সংস্কার না করা হলে দুর্ঘটনায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে কর্মরত দলিল লেখক ও সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয় ঘুরে দেখা যায়, ভবনে ছাদের পলেস্তারা খসে ঢালাইয়ের রড বের হয়ে গেছে। কার্যালয়টির দেয়ালে বড় বড় কিছু ফাটলসহ ছাদের বিমেও ফাটল ধরেছে। ভবনের অনেক স্থানে মেঝের ঢালাই উঠে গেছে। বিদ্যুৎ লাইনও ঝুঁকিপূর্ণ।

এছাড়া স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃষ্টি শুরু হলে পলিথিন ও ছাতা দিয়ে ঢেকে রাখা হয় টেবিলে রাখা প্রয়োজনীয় দলিল-দস্তাবেজ কাগজপত্র।
এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। দলিল লেখক ও ভূমি ক্রেতা-বিক্রেতাদেরও দিন কাটছে দুর্ঘটনার আশঙ্কায়।
সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের তথ্য মতে, সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয় ভবনটি ১৯৮৯ইং সালে নির্মিত হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে ভবনটি।

শাহজাদপুর উপজেলার হবিবুল্লা নগর ইউনিয়নের ইসমাইল হোসেন জমির দলিল করতে এসে জানান, মাঝে মধ্যেই দলিলসংক্রান্ত কাজে এখানে আসতে হয়। ভবনটি অনেক পুরাতন হওয়ায় পলেস্তারা খসে পড়ছে। ভবনটি দ্রুত সংস্কার না করা হলে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি আছে।

দলিল লেখকরা জানান, ভবনটির অবস্থা খুব একটা ভালো না। সামনে বৃষ্টির দিন আসছে। দেয়াল চুয়ে পানি পড়ে। যে কোনো সময় ভবনটিতে বৈদ্যতিক সর্টসার্কিট হয়ে মুহূর্তেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

ফারহানা আজিজ (সাব-রেজিস্ট্রার, শাহজাদপুর) বলেন, ভবনটি দ্রুত সংস্কারের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি কর্তৃপক্ষ ভবনটি দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

বার্তা বাজার/জে আই