দর্শক নেই, শ্রোতা নেই, তবুও ঢোল তবলার বাজনাতে ভরপুর। আর মাত্র ৮দিন পর (১৫ ফেব্রুয়ারী) থেকে শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা। কিন্তু এ আয়োজনে পরীক্ষার অন্তিম মুর্হূতে প্রস্তুতি নিয়ে বিপাকে শিক্ষার্থীরা। আর এতে দুশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে অভিভাবকদের কপালে।

এ যেন রঙ্গ রসের খেলায় মেতেছে উপজেলার পারুলিয়া কয়েক জুয়াড়ী। প্রশাসনের তৎপরতায় জুয়ার আয়োজন ভেস্তে গেলেও বন্ধ হয়নি পরীক্ষার আগ মুর্হূতে সার্কাসের আয়োজন। সকাল থেকে শুরু হয় বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় মাইকিং। আর দুপুর গড়ালে জেলিয়া পাড়া মাঠে উচ্চ স্বরে বেজে উঠে শব্দ যন্ত্রের তীব্র আওয়াজ, চলছে গভীর রাত পর্যন্ত।

এতে গোটা এলাকায় ব্যাপক শব্দ দূর্ষণের পাশাপাশি রীতিমত ঘুম হারাম হয়ে গেছে আশেপাশের মানুষের। পাশাপাশি পড়ালেখায় মন বসাতে পারছে না আশেপাশের শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দক্ষিণ পারুলিয়ার জেলিয়া পাড়া ফুটবল মাঠে এলাকার চিহ্নিত জুয়াড়ি ও মাদকসেবী কয়েকজনের প্রচেষ্টায় প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে এ সার্কাসের অনুমোদন করা হয়েছে। গত ২ ফেব্রুয়ারী রাত থেকে এই সার্কাস শুরু হয়েছে। সার্কেসের আড়ালে জুয়াড়ীদের এনে আসর বসাতে যখন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল ঠিক সে সময় সংবাদর্মীদের শক্ত লেখালেখিতে এবং প্রশাসনের তৎপরতায় সেটি বন্ধ হয়ে যায়। মহান ভাষার মাসে সার্কাস প্যান্ডেল বসিয়ে যশোরের একটি সার্কাস পাটি এনে নামমাত্র খেলাধুলার পাশাপাশি সেখানে নত্তর্কীদের নাচের আয়োজন করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক স্থানীয়দের অনেকে জানান, পরীক্ষার পূর্বে এমন আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের ক্ষতির মুখে ঠেলে দিয়েছে। তাছাড়া পরীক্ষার আগে কিভাবে এমন আয়োজনে প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। সার্কাস বন্ধ না হলে আমাদের ছেলেমেয়েরা পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করতে পারবে না। তাই অতিদ্রুত এমন আয়োজন বন্ধ করে পড়ালেখার পরিবেশ ফেরাতে দাবি জানিয়েছন তারা।
এদিকে, পরীক্ষার মুখোমুখি এমন আয়োজন বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

বার্তা বাজার/জে আই