বিদেশি ছবি মুক্তিতে অনিয়ম এবং এতে সমিতির নিস্ক্রিয়তাকে দায়ী করে শিল্পী সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যহতি চেয়েছিলেন। তবে তার পদত্যাগ করা হলো না। কেননা শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিংয়ে গ্রহণ করা হয়নি সাইমনের পদত্যাগ পত্র। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জয় চৌধুরী।

সংবাদমাধ্যমকে জয় বলেন, ‘শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ। আজ সমিতির বেশকিছু বিষয় নিয়ে মিটিং ছিলো। কিছু সিদ্ধান্তও এসেছে। তবে সাইমন সাদিক ভাইয়ের পদত্যাগপত্র শিল্পী সমিতি গ্রহণ করেনি। সুতরাং আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই কমিটির সদস্য থাকছেন।’

শিল্পী সমিতির সভাপতি বরাবর একটি অব্যাহতি পত্র পাঠিয়েছিলেন সাইমন। সেখানে পদত্যাগের কারণ উল্লেখ করেছিলেন তিনি।

সাইমনের ওই অব্যহতিপত্রে লেখা ছিল, আমি সাইমন সাদিক। আপনার নেতৃত্বাধীন শিল্পী সমিতির নির্বাচিত সহ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। বিগত দিনে আমি আমার দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ নিবেদিত ছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি সমিতির নেওয়া কিছু সিদ্ধান্তে ও নীতির সঙ্গে আমি একমত হতে পারছি না। বিশেষ করে সাফটা চুক্তিতে বিদেশি ভাষার সিনেমা আমদানি করে দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পকে হুমকিতে ফেলে বিদেশি সিনেমা মুক্তির প্রেক্ষিতে বিতর্কিত পরিস্থিতিতে সমিতির নিষ্ক্রিয়তা আমার কাছে সমর্থনযোগ্য নয়। আমার উল্লিখিত শেষ বাজি সিনেমাটি গতকাল মুক্তি পেয়েছে। একই দিনে নিয়ম নীতি না মেনে বিদেশি আর একটি সিনেমা শিল্পী এবং আমার ক্যারিয়ার যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কিন্তু অত্যন্ত হতাশার বিষয় এ সম্পর্কে আমাদের সমিতি নীরব রয়েছে।

আরও উল্লেখ করা হয়েছিল, এসব বিষয়ে মত পার্থক্য থাকায় সমিতির কার্যকরী কমিটিতে থাকা আমি অযৌক্তিক ও অনুচিত মনে করছি। তাই সহ সাধারণ সম্পাদক থেকে অব্যাহতি চাইছি। তবে আমি অতীতের মতোই দেশীয় চলচ্চিত্রের বিকাশের পক্ষে কাজ করে যাব।

বার্তা বাজার/জে আই