বরগুনার তালতলীতে সুখি আক্তার নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই গৃহবধূর বাবার দাবি শ্বশুর বাড়ির লোকজনে হত্যা করেছে। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চরপাড়া গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সুখি উপজেলার চরপাড়া এলাকার হাসানের স্ত্রী।
স্বজন ও তালতলী থানা সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূ গত ৩১ জানুয়ারি ছোটবগী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে সারা দিন কাজ শেষে রাতে নিজ রুমে ঘুমাতে যায়। এরপর তার আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সকালে পরিবারের লোকজন আত্মীয়স্বজনদের কাছে খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান পায়নি।
দুইদিন পরে আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিহতের শ্বশুর বাড়ি থেকে ২০০ গাছ দূরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের পাসে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুর ১২টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
মরদেহের প্রাথমিক সুরতহালে শরীরে আঘাতের বেশ কয়েকটি চিহ্ন পাওয়া গেছে এবং নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
গৃহবধূর বাবা বাবুল ফকির বলেন, ‘আমাদের সন্দেহ আমার মেয়েকে শ্বশুর বাড়ির লোক হত্যা করে মরদেহটি রাস্তার পাশে ফেলে রেখেছে। আমি এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’ গৃহবধূর স্বামী হাসান বলেন, ‘আমি সাগরের মাছ ধরছিলাম। আমার স্ত্রীর নিখোঁজের খবর শুনে আমি সাগরে মাছ ধরা রেখে চলে এসেছি। এসে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করি কিন্তু পাইনি। আজ সকালে আমার স্ত্রীর লাশ দেখে স্থানীয়রা আমাদের খবর দেয়।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের কোনো শত্রু নেই। কে বা কারা আমার স্ত্রীকে হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলামা খান বলেন, ‘খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লাশ যে স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে এই ঘটনা ঘটেনি বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পুরো বিষয়টি রহস্যজনক। তদন্ত করে সঠিক রহস্য বের করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে হত্যার সঠিক কারন বলা যাবে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।’
বার্তা বাজার/জে আই