‘স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও সমৃদ্ধি চাই; নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই’প্রতিপাদ্যে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২৪’-এর র‌্যালিপূর্ব সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করেন তিনি।

পরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ থেকে র‌্যালি শুরু হয়ে শাহবাগ হয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফেরদৌস বলেন, ‘খাদ্য ব্যবসায়ীদের শাস্তি দিলেই সবকিছুর সমাধান হয়ে যাবে, এমন না। তাদের মধ্যে বোধের উন্মেষ ঘটাতে হবে।’

মানুষের সঙ্গে খাবার নিয়ে প্রতারণা না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একজন ব্যবসায়ী যে খাবারটা বিক্রি করেন, সেটা তার পরিবার ও ছেলে-মেয়েরাও খাচ্ছে, স্কুলে নিয়ে যাচ্ছে। তাই খাবার নিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা যাবে না।’

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এ শুভেচ্ছাদূত বলেন, ‘খাবার উৎপাদন থেকে ভোগ পর্যন্ত প্রতিটি জায়গায় আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। নাহলে যে কোনো জায়গায় খাবার অনিরাপদ হয়ে যেতে পারে।’

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার সচেতনতার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘ভোক্তার সচেতনতা, উৎপাদক সচেতনতা ও যারা প্রক্রিয়া করে তাদের সচেতনতার মাধ্যমে আমরা এক সময় খাবার নিরাপদ করতে পারব।’

‘বিডি টুরিস্ট সাইক্লিস্ট’ নামের একটি সংগঠন শতাধিক সাইক্লিস্টদের মাধ্যমে ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নিরাপদ খাদ্যের বার্তা ছড়িয়ে দেয়। সংগঠনের সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম টুববুস বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য পাওয়া সবার অধিকার। সবার সচেতনতা ছাড়া নিরাপদ খাদ্যের পরিবেশ তৈরি হবে না। ভিন্নভাবে মানুষকে সচেতন করতেই মূলত সাইকেলের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে মানুষকে জানানো হয়।’

কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, এনজিও, সামাজিক সংগঠনের কর্মীসহ পাঁচ শতাধিক মানুষ র‌্যালিতে অংশ নেন।

বার্তা বাজার/জে আই