ঢাকার আশুলিয়ার আমিন মডেল টাউন স্কুল ও কলেজের এক শিক্ষার্থীকে ঠিকানা পরিবহনের স্টাফরা তুলে নেওয়ার জেরে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা এই পরিবহনের বেশ কিছু বাস আটকে রাখে। এসময় কয়েকটি বাস ভাংচুরসহ বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ঠিকানা বাস খুঁজে খুঁজে থামানোর ফলে ঢাকা-চন্দ্রা মহাসড়কের পল্লীবিদ্যুত কবরস্থান এলাকায় প্রায় আধা ঘন্টা যানজট সহ যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে দশটার দিকে পল্লীবিদ্যুত কবরস্থান রোডের মাথায় এই ঘটনা ঘটে।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, আমিন মডেল টাউন স্কুল ও কলেজের একটি বাস সকালে কবরস্থান রোডের মাথায় এলে ঠিকানা পরিবহনের একটি বাসের সাথে সাইড দেওয়া-নেওয়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে আমিন মডেল টাউন স্কুলের শিক্ষার্থী আজিজুল ইসলাম যে আবার তাদের স্কুল বাসের কর্মচারী, সে উত্তেজিত হয়ে ঠিকানা পরিবহনের বাসের একটি জানালার গ্লাস ভেঙ্গে দেয়। এসময় ঠিকানা পরিবহনের স্টাফরা ওই ছাত্রকে জোর করে বাসে উঠিয়ে নিয়ে সাভারের দিকে চলে যায়। মুহুর্তে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে আমিন মডেল টাউন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চন্দ্রা মহাসড়কের পল্লীবিদ্যুত কবরস্থান ও ডিওএইচএস এলাকায় মহাসড়কের উভয় পাশে অবস্থান নেয়। এসময় তারা ঠিকানা পরিবহনের চলন্ত বাস থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে বাসগুলো মহাসড়কের পাশে সাইড করে বাসের চাবি নিয়ে নেয়।

এদিকে, এই ঘটনার খবর পেয়ে সাভার হাইওয়ে থানার ওসি সহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে আসে। তারা বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করেন। অপরদিকে, যে ছাত্রকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে ঠিকানা পরিবহন কর্তৃপক্ষ সাভারের রেডিও কলোনি এলাকা থেকে পল্লীবিদ্যুত কবরস্থান এলাকায় নিয়ে আসছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ছাত্ররা সকল বাসের চাবি পুলিশের মাধ্যমে চালকদের কাছে হস্তান্তর করে।

এভাবে প্রায় এক ঘন্টা ঠিকানা পরিবহনের বাস আটকে থাকে ঢাকা-চন্দ্রা মহাসড়কে। বেলা সাড়ে এগারটার দিকে বাসগুলো যার যার গন্তব্যে চলে যায়। এই ঘটনায় আমিন মডেল টাউন স্কুলের এক শিক্ষার্থীর হাত কেটে যায় এবং কয়েকটি বাস ভাংচুর হয়। তবে কোনো যাত্রী আহত হন নাই।

বার্তাবাজার/এম আই