চট্টগ্রামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ ও চাঁদা দাবির অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (২১ জানুয়ারি) বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা।

তিনি জানান, আরাফাত রহমান সানি নামের এক টাইলস মিস্ত্রিকে গত বুধবার দিনগত রাত পৌনে ১০টার দিকে বাসায় ফেরার পথে ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকায় একজন অজ্ঞাতপরিচয় নারী নিজেকে অসুস্থ জানিয়ে সানির কাছে রৌফাবাদের বাসায় পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ করেন। অসুস্থতার ভান করে সানিকে রৌফাবাদ নিয়ে যান। এসময় সানি ওই নারীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নামিয়ে দিতেই কয়েকজন আসামি তাকে টেনেহিঁচড়ে পাশের এশিয়াটিক কটন মিলের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে তার সঙ্গে থাকা নগদ টাকা, সোনার আংটি ও ঘড়ি ছিনিয়ে নেয়।

এরপর সানিকে মারধর করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। সানি মোবাইল ফোনে এলাকার বড় ভাই বাবু আহমেদকে ঘটনা জানান। এরপর বাবু আহমেদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে সানিকে ছাড়িয়ে আনতে যান। এসময় আসামিরা বাবু আহমেদকেও আটক করে ২০ হাজার টাকা ছাড়াও তার কাছে থাকা আরও ১২ হাজার টাকা এবং মোবাইল ফোনের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ৬ হাজার টাকা ক্যাশ আউট করে নেয়। পরে মারধর করে মামলা না করার ভয় দেখিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়।

ঘটনার পর দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে সানি বিষয়টি পুলিশকে জানান। পরে অভিযান চালিয়ে এশিয়াটিক কটন মিল এলাকা থেকে পাঁচ অপহরণকারীকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১১ হাজার ৯০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। পুরো ঘটনায় প্রতারক নারীসহ জড়িত ছিলেন ১১ জন।

গ্রেফতার পাঁচজন হলেন, বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন আলীনগর শনির ঘোনা এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে আমিনুল ইসলাম শরীফ (২২), আলী নগর এলাকার মোঃ রমজান আলীর ছেলে তোফাজ্জল হোসেন হৃদয় (২২), বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন মুরাদনগর মৃর্ধাপাড়া এলাকার মৃত মোঃ ইয়াছিনের ছেলে মোঃ হৃদয় (২২), একই এলাকার আবদুল মজিদের ছেলে ওয়াজেদ হোসেন টিটু (২২) এবং চট্টগ্রামের ভুজপুর থানাধীন নারায়নহাট ইউনিয়নের শৈলকূপা গ্রামের নুরুল আবছারের ছেলে মোঃ মিনহাজুল আবেদীন মারুফ (২২)।

তাদের বিরুদ্ধে শুক্রবার অপহরণ, লুট, চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি সঞ্জয় কুমার সাহা।

বার্তা বাজার/জে আই