সাতক্ষীরার মোহাম্মাদ আলী নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী ফিরতে চান স্বাভাবিক জীবনে। ওই যুবকের বাড়ি জেলার আশাশুনি উপজেলার কুল্যা গ্রামে। স্থানীয় ভ্যানচালক রেজাউল ইসলামের একমাত্র ছেলে। মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় পরিচর্চা অভাবে শেকলে বেধে রাখা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায় সে।

জানা গেছে, মোহাম্মদ আলীর মা-বাবা সারাদিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরের কাছে জনমজুরি খেটে উপার্জন করে থাকেন। দু’বেলা দু’মুঠো খেয়ে যে সঞ্চয় করেন তা চলে যায় একমাত্র ছেলের পিছনে। প্রতিনিয়ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ফিস, মেডিকেল রিপোর্ট, যাতায়াত ও মেডিসিন খরচ বাবদ প্রতিমাসে খরচা হয় এক থেকে দেড় হাজার টাকা। নিম্ন বিত্ত পরিবারের পক্ষে সাংসারিক খরচ করে অতিরিক্ত এক থেকে দেড় হাজার টাকা ছেলের চিকিৎসার জন্য খরচ করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে বলে জানান মোহাম্মদ আলীর পিতা।

পিতা-মাতা বাড়িতে না থাকায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লোহার শিকলে বন্দি থাকতে হয় মোহাম্মদ আলীকে । মাঠে কৃষানী কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে শিকলের বন্দী জীবন থেকে মুক্ত করেন তার মা। এমনিভাবেই মানবেতার জীবন যাপন করতে হয় অসহায় পরিবারের মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে মোহাম্মদ আলীর।

এ বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মিজানুল হক জানান, এ ধরনের রোগের জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীকে রেফার করা হবে।

বার্তা বাজার/জে আই