গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে চুড়ান্ত আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সরকারের পতন ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দিয়ে সারাদেশে আন্দোলন চলমান রাখে তারা। প্রায় আড়াই মাস যাবত চলে আসা এই চুড়ান্ত আন্দোলনে রাজপথে দেখা মিলেনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের।
প্রথমদিকে দুএকটি কর্মসূচি পালন করলেও পরবর্তীতে জেলা বিএনপি শীর্ষ নেতা বা তার অনুসারিরাও কোনো কর্মসূচি পালন করেননি। আড়াইমাসের আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ব্যানার দেখা গেছে কদাচিৎ।
পুরো আন্দোলন সংগ্রামে সুপার ফ্লপ ছিলো সাবেক এমপি মো: গিয়াসউদ্দিন ও গোলাম ফারুক খোকনের নেতৃত্বে থাকা নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি।
সূত্রে প্রকাশ, গত ২৮ অক্টোবরে ঢাকার সমাবেশের আগ থেকেই নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মী পুলিশের ভয়ে ঘরবাড়ি ছাড়া। ২৮ অক্টোবরের পরে নারায়ণগঞ্জের ৭টি থানায় প্রায় ২০টির উপরে নাশকতার মামলা দায়ের করা হয় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
যার ফলে নারায়ণগঞ্জের বিএনপি নেতাকর্মীদের আর ঘরে ফেরা হয়নি। নেতাকর্মীরা যখন ঘরবাড়ি ছেড়ে ফেরারী জীবন যাপন করছে তখনই চুড়ান্ত আন্দোলনের ডাক আসে।
এই ডাকে সাড়া দিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি, মহানগর যুবদল, জেলা যুবদলসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিগুলো গেরিলা ষ্টাইলে পালন করে গেছে। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা গেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ক্ষেত্রে।
সরকার বিরোধী চুড়ান্ত আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি এবং তাদের ইউনিটগুলোর বেশিরভাগ নেতাকর্মীই রাজপথে নামেননি, এমনকি কর্মী সমর্থক দিয়েও কোনো কর্মসূচি পালন করেননি। গুরুত্বপূর্ন সময়ে এসে জেলা বিএনপির এই নিস্ক্রিয় আচরণ ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মনে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির এক কর্মী বার্তা বাজারকে জানান, দলের মনোনয়ন আর কমিটি গঠনের সময়ে যেসব নেতারা হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে শোডাউন করেন, দলের এই ক্রান্তিলগ্নে ১০ জনের একটি মিছিলও তারা করলেন না। আমার মতে, এরা হলো সুবিধাবাদি রাজনীতিবীদ। এরা দলের সুসময়ে এসে অতিথি পাখির মতো ভিড় করে আর দুঃসময়ে পালিয়ে যায়। তাই নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিকে শক্তিশালি করতে কেন্দ্রের আরো নজরদারি দাবি করেছে তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
বার্তাবাজার/এম আই