লক্ষ্মীপুর-২ আসন (রায়পুর ও সদর একাংশ) আসনে ১৩ প্রার্থীর মধ্যে এখনো শেষ মূহুর্তে আলোচনা ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন নৌকার প্রার্থী নয়ন।

এদিকে শনিবার (৬ জানুয়ারি) রায়পুর প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জনতা লীগের চেয়ারম্যান ও সম্মিলিত মহাজোটের প্রার্থী মুনসুর আহমেদ এই আসনের প্রার্থী নৌকার নয়নকে সমর্থন জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। অন্যদিকে পারিবারিক কারণ দেখিয়ে শুক্রবার সন্ধায় ছড়ি প্রতীকে ইমাম হোসেনও সরে দাঁড়ান।

এ আসনে নুর উদ্দিন জনপ্রিয়তা ও উন্নয়নে শীর্ষে অবস্থান করছেন বলে জানান, তৃণমূল পর্যায়ের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মী। এ ছাড়াও এই আসনে নৌকার সাথে লড়ছেন জাতীয় পার্টির বোরহান উদ্দিন মিঠু ও কুয়েতে দন্ডপ্রাপ্ত সাবেক এমপি পাপুলের সহধর্মিনী কাজী সেলিনা ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মাসুদ (তৃণমূল বিএনপি) – সোনালী আঁশ, চৌধুরী রুবিনা ইয়াছমিন লুবনা (স্বতন্ত্র) – তরমুজ,জহির হোসেন (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি) – একতারা,মোঃ আমির হোসেন (জাসদ) – মশাল,মোঃ ইমাম উদ্দিন (বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট) – ছড়ি, মোঃ ফরহাদ মিয়া ( বাংলাদেশ কল্যান পার্টি) – হাতঘড়ি, মোঃ মোরশেদ আলম (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ) – চেয়ার,মোঃ শরীফুল ইসলাম (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট) – মোমবাতি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ আসনে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন। পরে দু’বারই তিনি উপ-নির্বাচনে আসনটি ছেড়ে দেন। এতে ৯৬ সালে বিএনপির প্রার্থী মওদুদ আহমেদকে হারিয়ে আওয়ামী লীগের হারুনুর রশিদ জয়ী হন। ২০০১ সালে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হারুনুর রশিদকে হারিয়ে বিএনপির আবুল খায়ের ভূঁইয়া জয়ী হন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনেও দলের টিকিটে আবুল খায়ের ভূঁইয়া দ্বিতীয়বারের মতো এমপি হন। সবশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জোটগত কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাতীয়পার্টির মোহাম্মদ নোমান এমপি নির্বাচিত হন। তার পরে ২০১৮ সালের নির্বাচনে নোমান সরে দাঁড়ালে কুয়েতে দন্ডপ্রাপ্ত পাপুল নির্বাচিত হন। কুয়েতের কারাগারে আটক থাকায় সংসদ সদস্য পদ খারিজ হলে মনোনয়ন পান আওয়ামী লীগের নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। তিনি উপনির্বাচনে বিজয়ী হন।

উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুর-২ আসনে এবারের মোট ভোটার ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮২ জন। তার মধ্যে রায়পুর উপজেলার পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিয়নে ২ লাখ ২৩ হাজার ৪৯১ জন (নারী-১১৮৩৭২ ও পুরুষ–১২৫১১৯ জন)। সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মোট মোটার ২ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯১ জন (পুরুষ-১০৬৭৭০ জন ও নারী-১১১১৬৩)।

ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৪৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২০টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ হলেও এর মধ্যেও আবার ৬০টি কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করেছে থানা ও জেলা পুলিশ।

রায়পুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ ফয়সাল আলম বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত। ইতোমধ্যে অধিকাংশ আসনে নির্বাচনি সরঞ্জাম পৌঁছে গেছে।’

বার্তাবাজার/এম আই