আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতীকের মনোনীত ও মহাজোট প্রার্থী এড. রেজাউল ইসলাম ভূইয়া’র নির্বাচনী কর্মীসভা ও গণ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে আশুগঞ্জ শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র নির্বাচনী জন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এড. রেজাউল ইসলাম ভূইঁয়া বলেন, এ আসনে দুইবার মহাজোট প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিল।সেখানেও আমার ভূমিকা ছিল’অন্তরালে ও ভুমিকা ছিল বিরাট। যে ভূমিকা না থাকলে এ আসনে মহাজোট প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার আর কোন সুযোগ ছিল না।

তিনি বলেন, আজ অনেকে, অনেক কথা বলছে। আমি কারো কথার জবাব দিতে চাই না। শুধু একটা কথা বলতে চাই। আমার একজন খুবই সম্মানী ব্যক্তি।যার বাসায় কিছুদিন আগে আমি লাঞ্চ করেছিলাম। তিনি বললেন আমি নাকি মুসাফির’ আমি বহিরাগত ! আল্লাহর দুনিয়ায় সকলেই মুসাফির। এ সময় সকলকে উদ্দেশ্যে করে রেজাউল বলেন, কথা ঠিক কি না। উপস্থিত জনতা বলেন, ঠিক। এড.রেজাউল ইসলাম ভূইঁয়া বলেন, এই দুনিয়ায় আমার বাপ চাচাকি কেউ আছে।

কারো-৬০ বছর,কারো -৭০ বছর,কারো-৮০ বছর আমরা কি কেউ থাকতে পারছি। তাহলে আল্লাহ যদি আমারে মুসাফির হিসাবে কবুল করেন’ আমিও বলি আপনারা ও বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। এসময় তিনি বলেন, আমাকে বহি’রাগত বলা হয়েছে তাও আমার কোন আপত্তি নাই। কারণ আমার জন্ম হয়েছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া। কর্ম করার জন্য যে কোন স্থান প্রয়োজন হয়। কর্ম যে কোন জায়গায় করা যায়। তারপরও সরাইলবাসীকে জানানোর জন্য বলছি। আমি এখানের বহিরাগত নই।

এখানে আরএস, বিএস, সিএস দাগের খতিয়ানে আমার অনেক গুলা বাড়ি ও অনেক সম্পত্তি আছে। সাংবাদিক ভাইদেরকে বলবো। আমার নির্বাচনী হলফনামায় এগুলা দেওয়া আছে। নির্বাচনী হলফনামা দেখবেন। মিথ্যা হলফনামা হলে প্রার্থীতা থাকবে না। কালিকচ্ছে আমার বাড়ি ও সম্পত্তি না থাকলে। আপনারা আমাকে ধইরেন।

রেজাউল ইসলাম ভূইঁয়া বলেন, দুই হাজার দুই সালে আমি এখানে বাড়ি কিনেছি। দুই হাজার দুই সাল হতে এখন- দুই হাজার চব্বিশ সাল। তাহলে একুশ বছর আগে থেকে আমি এখানের বাড়িও য়ালা। তাহলে আপনারাই বলেন, একুশ বছর আগে যিনি বাড়ি করেছেন। তারে কি বহিরাগত বলা যায়। তবে আমি আরেকটি ঘোষণা দিতে চাই। আমি এমপি হতে পারলে।

সেই বাড়িতে একটি বাসভবন হবে। এ বাসভবনের একতালাও দুই তালা এ এলাকার মানুষের জন্য অফিস করে দেব।যেহেতু আমাকে মুসাফির বলা হয়েছে।এ বাসভবনের নাম হবে মুসাফির খানা। সকল মানুষের জন্য খাওয়া’ থাকার সুব্যবস্থা থাকবে” ইনশাআল্লাহ।

সভায় উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমেদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. হানিফ সরকার, সহ-সভাপতি মো. আলা উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইস্তালিং সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়পার্টি নেতা নজরুল ইসলাম শাহাজাদা, সরাইল উপজেলা জাতীয় নেতা এমদাদুল হক সালেক, সেলিম মিয়া, প্রচার সম্পাদক আলাউদ্দিন সরকারসহ জেলা জাতীয়পার্টি ও সরাইল উপজেলা জাতীয়পার্টি নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র থেকে লাঙ্গল প্রতিকের সমর্থনে একটি গণমিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

বার্তাবাজার/এম আই