দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ (আলফাডাঙ্গা-বোয়ালমারী-মধুখালী) আসনে স্বতন্ত্র নবীন প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলনের দৌঁড়ঝাপে পেরেশানিতে পড়েছেন সাবেক সাংসদ হেভিওয়েট দুই প্রার্থী। ভোটের মাঠে আসনটিতে একাধিক প্রার্থী থাকলেও আলোচনায় আছেন এই তিনজন।

হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান ও নোঙ্গর প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. আবু জাফর।

এই দুই প্রার্থীর সঙ্গে ঈগল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন নবীন প্রার্থী ঢাকা টাইমসের সম্পাদক ও কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান দোলন।

অন্য প্রার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নুর ইসলাম শিকদারকে একা-একা একতারা মার্কা নিয়ে প্রচারে দেখা গেলেও জাতীয় পার্টির প্রার্থী আক্তারুজ্জামানকে মাঠে দেখা যাচ্ছে না। এমনকি আসনটির কোন স্থানে লাঙ্গল প্রতীকের কোন পোস্টার কিংবা প্রচার মাইক চোখে পড়েনি।

তিন প্রার্থীর গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, সভা সমাবেশে প্রচারণার শেষ দিকে জমে উঠেছে নির্বাচনি মাঠ। কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি দিলেও এর কোনো প্রভাব নেই এ আসনটিতে। পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় ছেয়ে গেছে নির্বাচনি ব্যানার-পোস্টার। পাশাপাশি চলছে মাইকিং। ভোট প্রার্থনায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন কর্মী সমর্থকরা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থী ও প্রার্থীর সমর্থকরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনের মাঠে কেউ কাউকে একবিন্দুও ছাড় দিতে রাজি নন।

ইতোপূর্বে প্রবীণ ও হেভিওয়েট দুই প্রার্থী শাহ্ মো. আবু জাফর ও আব্দুর রহমান এ আসনে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও এ নির্বাচনে কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তরুণ স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলনের নানা উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ডে সাধারণ ভোটাররা তার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। ইতোমধ্যে নির্বাচনি এলাকার একাধিক জনপ্রতিনিধি নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষ ত্যাগ করে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দোলনের পক্ষে যোগ দেওয়ায় পাল্টে গেছে ভোটের চিত্র।

বোয়ালমারী উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো. হান্নান মোল্যা বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক এ নির্বাচনে যেকোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তাই আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আরিফুর রহমান দোলনকে বেছে নিয়েছে। তিনি পরোপকারী মানুষ, মানুষকে সম্মান ও ভালোবাসতে জানেন। বিপদে-আপদে মানুষের পাশে থাকেন। তাই ভোটের সমীকরণে দোলনের ঈগলের পাল্লায় ভারি।’

মধুখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খুরশিদ আলম জানান, ‘মধুখালি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররা ঈগল প্রতীকের পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করছেন। কারণ ঈগল প্রতীকের প্রার্থী দলের বাহিরের কেউ নন।’

আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান বলেন, ‘বর্তমানে তৃণমূল জনগণের আস্থার প্রতীক ঈগল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে প্রধানমন্ত্রীর নৌকাকে নয় নৌকার প্রার্থীকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই জণগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আর সমর্থনে ঈগল আজ বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে।’

বার্তাবাজার/এম আই